ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চুনতিতে নির্বিচারে পাহাড় কাটার অভিযোগ

pahar-kataলোহাগাড়া প্রতিনিধি ::

লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। তারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপাষকতায় দীর্ঘদিন ধরে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৬ আগষ্ট লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খবর পেয়ে চুনতি মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি এস্কেভেটর আটক করেছেন। উপস্থিতি টের পেয়ে পাহাড় খেকোরা পালিয়ে যায়। তবে যন্ত্রটি চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জনু’র জিম্মায় রয়েছে। চেয়ারম্যান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কোন মামলা হয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পাহাড় খেকোরা অপতৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইউএনও মোঃ মাহবুব আলম জানিয়েছেন, তিনি গোপনে অবহিত হন যে, চুনতি মহিলা কলেজ সংলগ্ন মুহাদ্দেছ শাহ আলমের পাহাড় কাটা হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি অভিযান চালানোর জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। সেখানে অভিযান চালানোর পর পাহাড় খেকোরা পালিয়ে যায়। চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক আবদুল জলিল প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, তারাও বিষয়টি জেনেছেন। তবে কোন অভিযোগ না থাকায় মামলা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা চুনতি রাতার ছড়া, বয়না পুকুর, ফায়ার ষ্টেশন সংলগ্ন স্থান ও মহিলা কলেজের আশেপাশে পাহাড় কেটে চলেছেন। তারা চুক্তি ভিত্তিক পাহাড়গুলো মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে বিভিন্নস্থানে মাটি বিক্রি করেন। ফায়ার ষ্টেশন সংলগ্ন পাহাড় কাটা হয় রাতের অন্ধকারে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেছেন, তাঁর কর্মকালীন সময়ে লোহাগাড়ায় কোন কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কিংবা পাহাড় কাটা হতে দেবেন না। বিগত দিনে কিভাবে পাহাড় কাটা মাটি ইটভাটায় কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। এলাকাবাসীরা পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

পাঠকের মতামত: