ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে ভোটার হালনাগাদে ফরম পায়নি হাজার হাজার মানুষ

election_commision1461919184শাহেদ মিজান, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারের আট উপজেলার ভোটার হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ ৯ আগষ্ট শেষ হয়েছে। তবে ফরম সংকটের কারণে হাজার হাজার মানুষ ফরম পূরণ করতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক স্থানে ফরম না পেয়ে তথ্য সংগ্রহকারীদের লাঞ্ছিতও করেছে বিক্ষুব্ধরা।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুলাই থেকে সারাদেশের প্রথম ধাপে কক্সবাজারের আট উপজেলায় ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে নিয়োজিত কর্মীরা। এর মধ্যে মহেশখালীতে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭ হাজার ৭৫০জন, কুতুবদিয়ায় ২ হাজার ৮২৩জন, এবং টেকনাফে ৫ হাজার ৪৫জন, চকরিয়ায় ৯ হাজার ৫০০জন, পেকুয়ায় ৩ হাজার ৬৪৮জন, উখিয়ায় ৪ হাজার ১৪৫ জন ভোটার,সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৪১৬জন এবং রামু উপজেলায় ৫ হাজার ৩৩২ জন। যাচাই-বাছাই চলবে পৃথক সময়ে এবং শেষ হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু তথ্য সংগ্রহ শেষ হলেও প্রতিটি উপজেলায় যোগ্য নাগরিকেরা ফরম পায়নি বলে অনেক অভিযোগ এসেছে। এই সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে টেকনাফ, উখিয়া ও মহেশখালীতে তীব্র ফরম সংকট হয়েছে। ফরম সংকটের দোহাই তোলে অনেক স্থানে ফরম বিক্রি করেছে তথ্য সংগ্রহকারীরা- এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। আবার ফরম না পেয়ে তথ্য সংগ্রহকারীদের লাঞ্ছিত করেছে অনেক জায়গায়। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ফরম না পেয়ে অনেক যোগ্য নাগরিক ভোটার হালনাগাদে অন্তভর্ূূক্ত হতে না পারার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, ১ জানুয়ারী ২০০০ বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী এবং ইতোপূর্বে যারা হালনাগাদে বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তালিকা অপডেট করার জন্য মৃত ভোটারদের তথ্য নেয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ মতে যারা ফরম পায়নি তারা সবাই নির্বাচন কশিনের সব শর্ত পূরণ করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নতুন ভোটার টার্গেট ৩.৫%। কিন্তু কক্সবাজারে ৬% এর মতো ফরম দেয়া হয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা অধ্যুষিত হওয়ায় রোহিঙ্গারাই ফরম পায়নি। তারাই পায় নাই পায় নাই রব তুলেছে। প্রকৃত যোগ্যতরা সবাই ফরম পেয়েছে।’

পাঠকের মতামত: