ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কুতুবদিয়ায় ৩ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গম বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :
কুতুবদিয়ায় উত্তর ধুরুং,দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ গম বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে। গতকাল রবিবার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ দেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারী বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চালের পরিবর্তে “গম” বিতরণে মাপে কম দেয়া হয়েছে কার্ডধারীদের। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজুর আলম বাদী হয়ে গম আত্মসাতের অভিযোগ এনে ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহের কোম্পানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইয়াছিন ও জনৈক জাফর আলম বাদী হয়ে গম আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে একই অভিযোগ এনে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়াড‘র্র মৃত মোজাফ্ফর আহমদের পুত্র উপজেলা আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী দলিলুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হত-দরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে সরকারী ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সহায়তা প্রদানের জন্য উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে ২ হাজার ৯৪০টি, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৫০টি এবং কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ১ হাজার ৭০০টি কার্ড বিতরণ করা হয়। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি করে চাল বিতরনের কথা ছিল। কিন্তু কুতুবদিয়া খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল মজুদ না থাকায় চালের পরিবর্তে গম বরাদ্দ দেয়া হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল তারিখে ৫১.০১.২২৪৫.০০০.৪১.০০১.১৫.৬৭ স্মারকে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ১৭ টন, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ১৭.৫০ টন ও উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের জন্য ২৯ টন চারশত কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। যা চালের বিপরীতে গমের অনুপাতে কার্ড প্রতি ১৩.২৭৫ কেজি গম দেয়ার কথা থাকলেও প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৪/৫ কেজি কম দিয়ে বাকী গম আত্মসাৎ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান ত্রয়। এর মধ্যে উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ১১ টন, দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ৭ টন ও কেয়ারবিল ইউপির চেয়ারম্যান সাড়ে ৬ টন গম আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী বলেন, প্রত্যেক কার্ডধারীকে সমানভাবে ১৩ কেজি করেই চাল/গম বিতরণ করা হয়েছে। কোন অনিয়ম হয়নি বলে জানান তিনি। এছাড়া উত্তর ধুরুং ও কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয়ও একই কথা জানিয়ে বলেন, গম বিতরণে কোন অনিয়ম বা মাপে কম দেয়া হয়নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চৌধুরী বলেন, ভিজিএফ‘র গম বিতরণে একাধিক ইউনিয়নে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত টিম তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: