ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় হামরুবেলা ক্যাম্পেইনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চকরিয়া অফিস : 
চকরিয়ায় হামরুবেলা বিশেষ ক্যাম্পেইনের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১ আগষ্ট হামরুবেলা বিশেষ ক্যামম্পেইনের ভ্যাকসিন ও লজিস্টক পরিহবনের দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন। শুধুমাত্র ৪জন পোর্টার দিয়ে ১৮টি ইউনিয়নে ভ্যাকসিন পরিবহন করায় ভ্যাকসিনের গুণগত মান ঠিক রাখা সম্ভব ছিল কী না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়; গত ২৯ এপ্রিল থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে হামরুবেলা’র বিশেষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত হয়। হামরুবেলা’র এই
বিশেষ ক্যাম্পেইন বাস্তাবায়নের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডাব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) এবং ইউনিসেফ (টঘওঈঊঋ) হামরুবেলার এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের বিভিন্নখাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেন। ওই বরাদ্দের মধ্যে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভ্যাকসিন ও লজিস্টিক পরিবহনের জন্য ১৮জন পোর্টার নিয়োগ দেয়ার কথা। তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১লাখ ৭২ হাজার টাকা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন ও লজিস্টিক পরিবহনের দায়ীত্বে ছিল মাত্র ৪জন পোর্টার(কর্মী)। ওই চারজনের মধ্যে মাত্র তিনজনকে ১১ হাজার টাকা করে ৩৩ হাজার পরিশোধ করে কাল্পনিক ব্যক্তিদের নামে ব্যয় বিবরণী দাখিল করে বাকী সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা ছাড়া প্রতি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকদের (সিএইচসিপি)দের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ দেয়া ২৭ হাজার ১শত টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাত ও ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের যাতায়াতের টাকাও আত্মসাত করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে মাইকিংয়েও ভুয়া বিল ভাউচার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পোর্টার(কর্মী) আমির হোছন জানান; তারা চারজন ১৮টি ইউনিয়নে ভ্যাকসিন ও লজিস্টিক পরিবহন করেছেন। চারজনের মধ্যে তাদের তিনজনকে মাত্র ১১ হাজার টাকা করে ৩৩ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। পোর্টার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, ভ্যাকসিন ও লজিস্টিক পরিবহন বাবত তাকে কোন টাকা দেয়া হয়নি। ভ্যাকসিন গুলো শীতাতপে রাখতে হয়। শুধুমাত্র ৪জন পোর্টার দিয়ে ১৮টি ইউনিয়নে ভ্যাকসিন পরিবহন করায় ভ্যাকসিনের গুণগত মান ঠিক রাখা সম্ভব ছিল কী না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেছেন; হামরুবেলার বিশেষ ক্যাম্পেইনে যেসব টাকা ব্যয় হয়নি এসব টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমুতি ছাড়া কোন তথ্য দিতে পারবেন না বলেও জানান। এ ব্যাপারে গত ১ আগষ্ট দুপুরে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুস সালামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: