ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েছে শাকসবজি ও মাছের বাজারে

sobjuমিজবাউল হক, চকরিয়া :

অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে সবধরনের সবজির। দিনদিন বেড়েই চলছে সবজির দাম। তবে বাজারে মুরগির দাম কমলেও কোনভাবে কমছে না গরুর মাংস ও শাক-সবজির দাম। গতকাল মঙ্গলবার চকরিয়া পৌরশহরে সোসাইটি বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে দেড়’শ থেকে দুই’শ টাকা। আলু, বেগুন, টমোটো, ঢেড়শ, করলা, বরবটি, কুমড়া, চিচিঙ্গাসহ কোনো সবজির দাম কমেনি। অব্যাহত ভাবে সবজির দাম বাড়ার কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।

বাজারে সরবরাহ ঠিক থাকা সত্ত্বেও কী কারণে সবজির বাজারের আগুন তা বলতে পারছেন না ব্যবসায়িরা। তবে কয়েক দফা বন্যা ও দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারণে সবজির বাজার চড়া বলে বলছেন তারা। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০’শ টাকায়। আর এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৮০ থেকে দুই’শ টাকা হওয়ায় অনেকেই কাঁচা মরিচের বিকল্প শুকনা মরিচ বা গুড়া মরিচের দিকে ঝুঁকছেন।

চকরিয়া পৌরশহরের সোসাইটি কাচার বাজার ও শহীদ আবদুল হামিদ বাসটার্মিনাল কাঁচা সবজির আরত গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, বিভিন্ন ধরণের ডাল সহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। দাম কমার কোন আলামত দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-৯০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১৫০-১৭০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, কচু ৬০টাকা, শশা ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৮০-৯০ টাকা, ঢেঁড়শ ৯০-১০০ টাকা, কঁচুর লতি ৬০-৭০ টাকা। এছাড়াও লাউ শাক ও সবুজ শাক, পালং শাক, পুঁই শাক অন্যান্য সময়ের চেয়েও এবারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

রফিক আহমদ নামের এক ক্রেতা বলেন, যে টাকা নিয়ে বাজারে এসেছি সবজির দাম দেখে মনো হলো সেই টাকা দিয়ে সবজি পাবো না। সবজির দাম একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকা, খাসি ৭০০-৮০০ টাকা, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা, কক মুরগী ২৪০-২৫০ টাকা ও দেশী মুরগি ৩২০-৩৫০টাকা ও ডিমের ডজন ৭৫টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কেবল শাকসবজি নয়, আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও।

টানা ভারিবর্ষণ ও কয়েক দফা বন্যার কারণে দেশের প্রায় অর্ধেক অংশ পানির নিচে। নদীনালা, পুকুর ও খালে বিলে পানি থৈ থৈ করছে। মাছ ধরার কোনো উপায় নেই। দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে সবধরনের মাছের। প্রতি কেজি রুই মাছ ২৭০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১৩০-১৫০ টাকা, লইট্যা ১২০-১৪০টাকা, রুপ চাঁদা ৬০০-৭০০টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০-১১০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-১৫০ টাকা, কেচকি মাছ ২৪০-২৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বেড়ে চলছে চালের দাম। সরকারী ভাবে চাল আমদানী করা হলেও সেই হিসাবে দাম কমেনি। চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৭৫ টাকা, কাল জিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা, প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৪০-৪৫ টাকা দরে, বেতি ৫৮-৬০টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দৈনন্দিন মাছ ও সবজির বাজােের দাম বাড়ার কারণে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।

মাছ ব্যবসায়ি বশির আলম জানান, টানা ভারিবর্ষণ ও বন্যার কারণে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। ঘের, খালে-বিলে ও পুকুরে মাছ দুই দফা বন্যার কারণে ভেসে গেছে। চাষিরা মাছ পাচ্ছে না। এজন্য মাছের দাম বেড়েছে বলে তিনি জানান। ##

পাঠকের মতামত: