ঢাকা,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

সেনা মোতায়েন ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রভাব মুক্ত করতে ভোটে সেনাবাহিনী মোতায়েন, সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া ভোটে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের তাগিদ দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে নির্বাচনী আইন সংস্কার, সীমানা পুনর্নির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে কমিশনের কাছে তারা মতামত তুলে ধরেছেন। গতকাল সকাল ১১টা থেকে নির্বাচন ভবনে ইসির সংলাপে নাগরিক প্রতিনিধিরা তাদের মত তুলে ধরেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অন্তত ৩৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হলেও মতবিনিময় সভায় কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। বৈঠক থেকে বের হয়ে পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অনেকে। নাগরিক সমাজের কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করা, সেনা মোতায়েন এবং ‘না’ ভোটের বিধান চালু, নির্বাচনকালীন সরকারের ধরনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মত দিয়েছেন তারা। সাবেক  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সবাই খোলামেলা মত দিয়েছে। অনেক বিষয় মতৈক্যের মত হয়েছে, কিছু বিষয় নিয়ে ভিন্নমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিজে সক্রিয় হওয়া, নিকট অতীতে দেখেছি ইসি নিজস্ব মত প্রয়োগে অনীহা দেখিয়েছে। যেটা সুষ্ঠু নির্বাচন অর্জনে কাজ দেয়নি। ইসি নিজে যেন সক্রিয় হয়। আমরা লিখিত মতামতও দিচ্ছি। রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্ব বিষয়। এক্ষেত্রে নিজস্ব লোকও হতে পারে; অথবা ইসির চিহ্নিত জেলা প্রশাসকও হতে পারে। এ কর্মকর্তা নিয়োগেও সক্রিয় থাকতে হবে। ইসির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয় না বা প্রতিকার নেই। এটাতে সক্ষমতা প্রমাণ হয় না। এ জন্য সক্ষমতা দেখানো জরুরি। অভিযোগ আমলে নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে অনেক অনিয়ম রোধ হতো। নির্বাচন ঘিরে ভোটার, প্রার্থী, প্রস্তাবক-সমর্থক, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ভয়ে থাকেন। ভয়মুক্ত নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সেনা মোতায়েন দৃশ্যমান করতে হবে। নির্বাচন কমিশন এককভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। এজন্য নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ইসির বিষয় নয়। এটা রাজনৈতিক দলের আলাপ-আলোচনা করেই ঠিক করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ নিয়ে সংলাপ হওয়া দরকার। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে বর্তমান সরকার থাকবে নাকি অন্যরা থাকবে। তবে এ সময়ে সংসদ ভেঙে দেওয়াটা জরুরি। না হলে ৩০০ সদস্যের ক্ষমতার বলয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। ওই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ওপর ইসির কর্তৃত্বটা রাখা খুবই জরুরি। ইভিএম নিয়ে বিতর্ক হলে সময় বেশি ব্যয় না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সংসদ ভেঙে দিলে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হয়ে ভালো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কেবল আন্তরিকতাই যথেষ্ট নয়, তাদের সক্ষমতা ও সৎসাহস থাকতে হবে। নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে। সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘আলোচনায় মূল ফোকাসটা দেওয়া হয়েছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে। আমরা যেন সবার অংশগ্রহণে ভোট দেখতে পাই। সহায়ক সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অনেকে বলেছেন তত্ত্বাধায়ক সরকার আনা হোক; আমরা বলছি, এটা আনা সম্ভব নয়, এটা ডেড ইস্যু। আর্মি নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে, আমরা বলেছি তাদের ম্যাজিস্ট্রেশিয়াল পাওয়ার দেওয়া ঠিক হবে না; আর্মিকে ভোটে আনার দরকার নেই। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কথা তুলেছে, আমরা বলেছি ভেঙে দেওয়া যাবে না। ’ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গোষ্ঠী সমালোচিত বিষয়গুলো ঘুরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সব দলকে ভোটে আনতে হবে এবং এজন্য সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে আইনে ঘাটতি থাকলে তার ব্যবস্থা নেবেন। নাগরিক প্রতিনিধিরা সঙ্গে থাকবেন। আগামীতে ১ কোটি প্রবাসী নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন হচ্ছে সুপার পলিটিক্যাল ইভেন্ট। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দলগুলো ফল ঘরে তোলে। কিন্তু এখনকার সংকট দূর করে নির্বাচনী কৌশলে আসতে হবে। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ইসিকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। দৃঢ় স্বাধীন ভূমিকা নিয়ে মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে এবং তা প্রমাণ করতে হবে। নির্বাচনী আইন তাদের নিজদের কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন কীভাবে নিরপেক্ষ থাকবে এবং তাদের নিরপেক্ষ রাখতে ইসি কীভাবে ভূমিকা রাখবে, তা দেখতে হবে। তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার আগে ইসির করার কিছু নেই— এমন বক্তব্যকে আমরা অনেকে গ্রহণ করিনি। এখন থেকে ইসির অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। ধর্মকে নির্বাচনী প্রচারে কোনোভাবেই নেওয়া যাবে না। বড়ভাবে ঐকমত্য হয়েছে, ‘না ভোট’ চালুর বিষয়ে ব্যাপক ঐকমত্য রয়েছে। সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রাখতে হবে। পাশাপাশি এ দুটি বিষয়ে ভিন্নমতও এসেছে আলোচনায়। তিনি জানান, নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বেশি স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা রাখতে হবে। প্রয়োজনে আলাদা আইন করতে হবে। দেবপ্রিয় বলেন, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসির বন্ধু রাজনৈতিক দল নয়; ইসির বন্ধু হলো জনগণ, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া ও আইন-আদালত। নির্বাচনকালীন-নির্বাচনোত্তর সহিংসতা রোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি বলেছি সংবিধানের ১১৮(৪) ধারা অনুযায়ী যথার্থ স্বাধীন শক্তিশালী এবং সাহসী কমিশন হতে হবে। এর ওপরই সুষ্ঠু নির্বাচনের সবকিছু নির্ভর করছে। ’ তিনি বলেন, ‘ইসিকে কাগুজে বাঘ হলে চলবে না, তাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার হতে হবে। আর পানামা পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের কেউ যেন প্রার্থী না হতে পারে তাও দেখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ পরিপন্থী দলগুলো যাতে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত না হতে পারে তার জন্য কঠোর হতে হবে। ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ইসি কোনো ইস্যু রেইজ করেনি; তারা বলতে দিয়েছে। ইসিকে তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে হবে, বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। কমিশনকে সক্রিয় হতে হবে। সব দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও ভোটারের মনে যে ভয়ভীতি রয়েছে তা দূর করতে হবে— এটা নিয়ে কারও দ্বিমত ছিল না। নিজে পক্ষে থাকলেও সাবেক আমলাদের দুজন সেনাবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় না রাখার জন্যও বলেছেন বলে জানান তিনি। সহায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা উঠলেও অনেকে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়েছেন। সেনাবাহিনী মোতায়েন, প্রশাসন ঢেলে সাজানো, ভয়ভীতি-শঙ্কা দূর করতে ইসি আসলে কোনো পদক্ষেপ নেয় কিনা সবার দেখার বিষয় হয়ে রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন নির্বাচনকালীন সময় নিয়ে ইসির কথা বলা উচিত নয়। আমাদেরও কথা বলা উচিত নয় বলে কেউ কেউ বলেছেন। ইসি চেষ্টা করেছে সবার বক্তব্য শোনার। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এখন ইসি কী পদক্ষেপ নেয় তা দেখা; এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আগের ইসি তাদের কাজকর্মে ইমেজ সংকটে পড়ে। কিন্তু আমরা চাই বর্তমান ইসি ভাবমূর্তি সংকট কাটিয়ে উঠে যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে সে ব্যবস্থা নেবে। তারা যেন রাজনৈতিক দলের কাছে মাথা নত না করে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সঠিক দায়িত্ব পালন করে এটা সবার চাওয়া। আসিফ নজরুল জানান, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা যায় কিনা বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছে। যেহেতু ডিসিরা রিটার্নিং অফিসার থাকেন, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারের সময়ে সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া যেতে পারে। ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, সংলাপে বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী সেনা মোতায়েনের পক্ষে ও নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কমিশন শক্তিশালী করা না গেলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, সবার অংশগ্রহণমূলক (ইনক্লুসিভ) নির্বাচনের ওপর সবাই গুরুত্বারোপ করেছেন। সংলাপে বেশির ভাগ বক্তা ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছেন। পেশিশক্তির প্রভাব ঠেকাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে ‘না ভোট’ প্রবর্তনের বিষয়ে মত দিয়েছেন অনেকে। তারা বলেছেন, ‘না ভোট’ থাকলে অনেকেই কেন্দ্রে যেতেন, তারা ‘না ভোট’ দিতেন। সলিমুল্লাহ খান বলেন, নির্বাচনে মূল সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাস। সন্ত্রাস হয় নির্বাচনের আগে-পরে ও ভোটের দিন। এ সমস্যার মূলে রয়েছে অর্থনীতি। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় কমিশন কর্তৃক বহন করে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হলে এ সমস্যা নিরসন সম্ভব। এর পরও যদি কোনো অসুবিধা থেকে থাকে তা নিরসনের জন্য পুলিশই যথেষ্ট। সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন হবে না। প্রফেসর দিলারা চৌধুরী বলেন, আশঙ্কা করছি এ নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার। এ কারণে আমি নির্বাচনকালে সহিংসতা রোধে আরপিও সংশোধন করে সেনাবাহিনীকে নিয়মিত বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছি। সংলাপে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান তার প্রস্তাবে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখাসহ ৯ দফা ইসির কাছে তুলে ধরেন। সঞ্জীব দ্রং বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, আবুল হাসান চৌধুরী, আলী ইমাম মজুমদার, মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, ড. সা’দত হুসাইন, মুহম্মদ আবুল কাশেম, এ এফ এম গোলাম হোসেন, মহিউদ্দিন আহমদ, মো. আবদুল লতিফ মণ্ডল, ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, অজয় রায়, শারমীন এস মুরশিদ, খুশী কবির, মাহবুবা নাসরীন, এম এম আকাশ, সাইফুল হক, ফিলীপ গায়েন, রোকেয়া জহুরুল আলম।

সংলাপে আরও যেসব সুপারিশ এসেছে : অনলাইনে মনোনয়নপত্র চালু, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করা যায় কিনা, ভোটার স্লিপ ইসির উদ্যোগে বিতরণ, নির্বাচনকালীন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ইসির নিয়ন্ত্রণে নেওয়া, নির্বাচনী ব্যয় কমানো, তদারকি কমিটি করা, সোশ্যাল মিডিয়া তদারকি, ভোটকক্ষে কোনো মোবাইল ফোন সেট নয়, গণমাধ্যমে প্রার্থী ও দল নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন রোধে আচরণবিধিতে যুক্ত করা, নির্বাচনী ব্যয় ও প্রচারণা করিয়ে দেবে ইসি ও সরকার, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট, প্রবাসী কোটি ভোটারকে তালিকাভুক্ত ও ভোটাধিকার প্রয়োগে ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান প্রতিনিধিদের এসব সুপারিশের বিষয়টি ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন।

দুজনকে বের করে দেওয়া হয় : সংলাপে আমন্ত্রিত না হয়েও নির্বাচন কমিশনে নির্ধারিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকায় দুজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। মতবিনিময় সভার শুরুতে কবি ও নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন লুবনা হাশেম। আলী হাসান আসকারী নামে একজনও উপস্থিত হন সভাস্থলে। তারা উপস্থিতির তালিকায় স্বাক্ষরও করে রেখেছেন। বিষয়টি ধরতে পেরে সাড়ে ১১টার দিকে এ দুজনকে বের করে দেওয়া হয়। তারা গণমাধ্যমে সংলাপ আয়োজনের বিষয়টি দেখেই ইসিতে চলে এসেছেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: