ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক।। চার লেনের সমীক্ষা শেষ খোঁজা হচ্ছে ডোনার

r&h. cox-ctgচকরিয়া প্রতিনিধি ::

চলতি বছরের ৫ মে বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার গিয়েছিলেন। ওই সময় উখিয়ায় জনসভায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চার লেনের বিষয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশনাও দেন। এ অঞ্চলের মানুষ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে মহাসড়কটি চার লেনের হবে। চার লেনে উন্নীত হলে অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে কক্সবাজারের। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যটনসহ সর্বক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এই সড়ককে চার লেনে রূপান্তরিত করার জন্য আন্তরিক। এ জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টরা কয়েক দফা সমীক্ষার কাজও সম্পন্ন করেছেন।

সওজের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটির চার লেনে রূপান্তর করার বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) ন্যস্ত রয়েছে। ইআরডি থেকে সড়কটির কাজের অর্থায়ন করার জন্য ডোনারও খোঁজা হচ্ছে। ডোনার পাওয়ার পরই মূলত চার লেনের কাজ শুরু করা হতে পারে। এর আগে এই সড়কটি বর্তমান  অবস্থায় থাকবে। আঁকা-বাঁকা অংশগুলোও সোজা করার সম্ভাবনা আপাতত নেই।

তবে সহসা যদি ডোনার পাওয়াও যায়, তবু কাজ শুরু করা নিয়ে আরো একটি প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। প্রতিবন্ধতা হিসেবে সংশ্লিষ্টরা দেখছেন, মহাসড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো। সড়ক ও জনপদ বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কক্সবাজার এলাকায় দুই পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, তা নিজেরাই অপসারণ করে নিতে ইতোমধ্যে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ অবৈধ দখলদার নোটিশ পেলেও সওজের জায়গা ছেড়ে দেননি।

তিনি বলেন, অবৈধ দখলদারদের জায়গা ছেড়ে দিতে সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে যারা দখল ছেড়ে দেনটি বা অবৈধ স্থাপনাও (ইমারত) নিজ উদ্যোগে অপসারণ করেননি, তাদেরকে নতুন করে আর নোটিশ দেওয়া হবে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ থেকে যখনই চূড়ান্ত নির্দেশনা আসবে, তখন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। তবে যেসব স্থাপনা নিয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেই বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সওজ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। মহাসড়কটির মাঝখান থেকে দুই পাশের ৫২ ফুট করে ১০৪ ফুট জায়গা সওজের অধিগ্রহণকৃত। বর্তমানে এই সড়কের দুই পাশের বিপুল পরিমাণ অধিগ্রহণকৃত জায়গা পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অবৈধ দখলে নিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে যাত্রীসাধারণ। তাই পূর্ব বাংলা সরকারের ভূ-সম্পত্তি ও ঘরবাড়ি আইনের ১৯৫২ (অ্যাক্ট অব ১৯৫৩ইং) অনুচ্ছেদ-২ সি সংজ্ঞা অনুযায়ী অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে এই নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) আবু আহসান মো. আজিজুল মোস্তফা বলেন, সওজের অধিগ্রহণকৃত জায়গা যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অবৈধ দখলে নিয়ে স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে অচিরেই পুনরুদ্ধার করা হবে।

পাঠকের মতামত: