ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ার পালংখালী বাজারের বেহাল দশা, ক্রেতা বিক্রেতাদের চরম দূর্ভোগ

Pic Ukhiya-28-07-2017ফারুক আহমদ, উখিয়া :::

উখিয়ার পালংখালী বাজারটি জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রতিবছর উপজেলা প্রশাসন ইজারার খাত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বাজারের উন্নয়নে এক টাকাও ব্যয় করেনি বলে এমন অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের। ফলে বাজারে আসা লোকজন ও ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত সমস্যার শিকার হচ্ছে। এসব দেখার জন্য কেউ নেই বলে দাবী করেছেন বাজারের আসা ও নানা সমস্যা এবং ভোগান্তিতে থাকা অসংখ্যা জনসাধারণ।

পালংখালী বাজারটি উখিয়া উপজেলার সর্বশেষ দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় পুরো পালংখালীবাসীর একমাত্র কেনা-বেচার হাট। ইউনিয়নের লোকজন এ হাটে প্রতিদিন আসে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার ও সব ধরনের কাঁচা বাজার করতে। এ বাজারে পার্শ্ববর্তী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ও এসে যুগ হয়ে থাকে। এতে বাজারে জনসাধারণের উপস্থিতি লক্ষনীয় ফলে এ বাজারটি গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতকাল ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে এ প্রতিবেদক সরেজমিন পরিদর্শন ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নানা সমস্যায় পড়েছেন দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। বাজারের জন্য কাঁচা বাজারের কোন সেট নেই। সবজি ও কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ীরা বৃষ্টিতে কোন রকম পলিথিন ঠাকিয়ে বেচা-কেনা করছে। অন্যদিকে কাঁচা মাছ বিক্রির জন্য কোন ধরনের সেট ও স্থান নেই। রাস্তার প্রধান সড়কের কুলঘেষে ঝুঁকিপূর্ণভাবে মাছ বিক্রি করছে এবং মাছের পানিতে দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। বাজারে কোন পাশ্বেই ময়লা আর্বজনার পানি যাওয়ার নালা অথবা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। যে যার মত করে বেচা-কেনা করায় বাজারের কোন শৃংখলা ও জনসাধারণের চলাচল ও দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। এতে বাজারে চরম বেহাল অবস্থা লেগে আছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চলতি বছর বাজারটি সরকারি ভাবে ইজারা হয় ৬লাখ ৭হাজার টাকা সহ অন্যান্য খরচ মিলে প্রায় ৭লাখ টাকা। প্রতি বছর সরকারি ভাবে এ বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হলেও সংস্কার ও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন সীমান্ত এলাকার এ বাজারটি গুরুত্ব অনেক বেশি। কারন উপজেলা সদরে গিয়ে বাজার করা এখানকার মানুষের জন্য অনেক কষ্ট সাধ্য। পালংখালী ইউনিয়নের মানুষ এ বাজারে এসে তাদের চাহিদা পুরণ করে আসছে। তাই এ বাজারটির দিকে নজর দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন।

এ বিষয়ে বাজার ইজারাদার আব্দুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ভাবে বাজারটি ডাকা হলেও কোন ধরনের সরকারি ভাবে উন্নয়ন ও সংস্কার করা হচ্ছে না এবং অদ্যাবধি পালংখালী বাজারের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ১০ টাকার উন্নয়নও করেনি। অপর দিকে সাবেক আরেক ইজারাদার আবুল মনজুর বাজারে উন্নয়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

############

উখিয়ায় ফলদ বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্টানে উপ-পরিচালক

পরিবেশ সু-রক্ষা ও দূর্যোগ মোকাবেলায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম

ফারুক আহমদ, উখিয়া :::

৪দিন ব্যাপী উখিয়ায় ফলদ বৃক্ষমেলার সমাপনী ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্টান গতকাল উখিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কৃষি বিভাগ আয়োজিত ফলদবৃক্ষ মেলার সমাপনী অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ.ক.ম শাহ্রিয়ার বলেন পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবেলা গাছপালার ভূমিকা অপরিসীম। তাই নিজেকে বাচাতে ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সবাইকে বৃক্ষরোপনে আরও সচেতন হতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সমাপনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মুফিদুল আলম। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস.এম শাহ জাহানের পরিচালনায় অনুষ্টিত অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন উখিয়া ফার্টিলাইজার এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক আহমদ কবির সওদাগর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা যথাক্রমে বিরেশ্বর রদ্র, বদিউল আলম, নাসির উদ্দিন, মোস্তাক আহমদ প্রমূখ। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী শিক্ষার্থী ও স্টল মালিকদেরকে পুরুস্কার বিতরণ করেন।

পাঠকের মতামত: