ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় আড়াই লাখ ইয়াবাসহ আটক ট্রাক হেলফার ৫ দিনের রিমান্ডে

yaba atokশাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

কক্সবাজারের উখিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের হাতে প্রায় আড়াই লাখ পিস ইয়াবা সহ আটক ট্রাক হেলফার দেলোয়ার হোসেন (২০) কে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার ওসি তদন্ত মোঃ কাই কিসলুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেলোয়ারের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। মামলার তদন্তের নামে পুলিশী হয়রানী আতংকের রয়েছেন উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার সাধারণ মানুষ।

১৬ জুলাই একটি ট্রাকসহ চালক ও হেলফারকে আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের দুই লাখ ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা।

থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরির্দশক রাজেশ বড়–য়ার নের্তৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বালুখালী চেকপোষ্টের সামনে একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৫১১১) জব্দ করে। ওই ট্রাকটি তল্লাসি চালিয়ে দুই লাখ ৫৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ট্রাক চালক ও হেলফারকে।

এঘটনায় উপ-পরির্দশক রাজেশ বড়–য়া বাদী হয়ে ধৃত চালক ও হেলফারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (মামলা নং-২৮, জিআর নং-২৭৭, তাং-১৫/০৭/২০১৭ইং) দায়ের করেন। আসামীদের মধ্যে ট্রাক মালিক ও হেলফার আপন মামা ভাগীনা। মামলার আসামীরা হলেন, যশোর জেলার সারসা উপজেলার গোগা (বাগানপাড়া) গ্রামের আব্দু রশিদের ছেলে ট্রাক চালক মোহাম্মদ মিন্টু আলী (২৭), একই উপজেলার কালিআনী ৭নং ওয়ার্ড বাসিন্দা মৃত মশিউর রহমানের ছেলে ট্রাক হেলফার দেলোয়ার হোসেন (২০), তার মামা একই এলাকার মৃত গোলাম খোরার ছেলে ট্রাক মালিক হামিদ (৪৫) ও টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম লেদা গ্রামের মৃত জালাল আহমদ সওদাগরের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন (৩৯)। মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ কাই কিসলু । ১৬ জুলাই চালক ও হেলফারকে (বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২ কক্সবাজার) আদালতে সোর্পদ করা হয়। আদালত দুইজনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

আদালত সুত্রে জানাগেছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবার উৎস, ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত মুল হোতাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ পূর্বক তাদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে হেলফার দেলোয়ার হোসেন নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ কাই কিসলু । আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৫ জুলাই আসামী দেলোয়ার হোসেনকে ৫ দিনের রিমান্ডে দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উখিয়া ও টেকনাফের বেশ কিছু বাসিন্দা অভিযোগ তুলেন, তদন্তাধীন মামলায় রিমান্ড আসামীর কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে এধরনের ধোয়া তুলে অনেক নিরীহ লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়েছে এ কর্মকর্তা।

মামলার দোহায় দিয়ে নিরীহ কোন লোকজন যাতে শারিরীক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখার দাবী জানিয়েছেন তারা।

আসামী দেলোয়ার হোসেনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ কাই কিসলু বলেন, ট্রাক হেলফার থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তার মোবাইলে অনেক নাম্বার পাওয়া যাচ্ছে, তবে অনেক জেলের নাম্বার হওয়ায় জড়িতদের বের করা কষ্টকর হচ্ছে। তিনি বলেন, ট্রাক চালক মোঃ মিন্টু আলী আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সবকিছু স্বীকার করেছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেয়া আসামীদের রিমান্ডে আনা হয় না, তাই হেলফারকে আনা হয়েছে রিমান্ডে।

পাঠকের মতামত: