ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাঁকখালীর ভাঙনে শতাধিক বাড়িঘর বিলীন ।। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু

bakkhaliকক্সবাজার প্রতিনিধি ::

বর্ষণ বন্ধ থাকায় গতকাল বুধবার থেকে কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে নিম্নাঞ্চলে পানি সরে যাওয়ার সময় নদী-নালা ও মাঠ-ঘাটে ভাঙন সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাট ও ফসলি মাঠের। উপকূলীয় এলাকায় ভাঙা বেড়ি বাঁধ দিয়ে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে আসা-যাওয়া করছে। এতে বন্যার পানি কমলেও জনদুর্ভোগ মোটেও কমেনি। অন্যদিকে পানি সরে যাওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে কক্সবাজার জেলায় বর্ষণ প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চলে আটকে পড়া পানি নিচের দিকে সরে যেতে শুরু করেছে। কিন্তু দ্রুত পানি সরতে গিয়ে নদী-নালা ও রাস্তা-ঘাটে ভাঙন সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে জেলার প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরীসহ নদী ও খালের তীরবর্তী শতাধিক বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া চলাচলের রাস্তা ও গ্রামীণ অবকাঠামোর ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মঙ্গলবারের বন্যায়। তবে গতকাল বুধবার থেকে বর্ষণ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এতে বানভাসী মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে নতুন আতংক। কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু ও অধ্যাপক সুলতান আহমদ জানান- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বাঁকখালী ও মাতামুহুরীসহ নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। আশংকা করা হচ্ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধিরও। এ বিষয়ে তারা সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান- কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরে পড়া লোকজন তাদের বাড়িঘরে ফিরছে। পাশপাশি পাহাড় ধসের আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসতি সরানোর কাজও চলছে। গত দুইদিনে শহরের প্রায় এক হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। অন্যদিকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলাবাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী।

এদিকে পাহাড়ধসে দুই শিশু সন্তান হারানো রামু চেইন্দার ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রায় ৪০ হাজার টাকার নগদ অর্থ সাহায্য দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য আরো ২০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

পাঠকের মতামত: