ঢাকা,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ফের টানা ভারী বর্ষণে নিমাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার আশঙ্কা

Chakaria Picture 23-07-2017ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার বেশিরভাগ নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়ক থেকে চকরিয়া থানার ভেতরে ঢুকে পড়ছে পানি।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

টানা ভারী বৃষ্টিপাতে গতকাল রোববার চকরিয়া উপজেলা ও পৌরসভার বেশির ভাগ নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মাতামুহুরী নদীতে ফের পাহাড়ি ঢলের পানি বেড়ে গিয়ে লোকালয়ে প্লাবিত হচ্ছে। এ অবস্থার কারনে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন। অপরদিকে বৃষ্টির পানিতে উপজেলার ও পৌরসভার নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ার কারনে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক, চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ও বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রোববার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারনে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে আবারও পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে শুরু করেছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকলে উপজেলায় ফের ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি হবে।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী জানিয়েছেন, গতকাল ভোর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত আরম্ভ হয়েছে। রাত পর্যন্ত চলছে ভারী বৃষ্টির তান্ডব। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আবারও উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারনে গতকাল সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়ক ডুবে গেছে। এতে জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আগের দুই দফা বন্যার তান্ডবে চকরিয়া পৌরশহর রক্ষাবাঁধ ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া পয়েন্টের বেড়িবাঁধ চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বালুর বস্তা পাইলিং করে ডাম্পিং করে কোনমতে নদীর ভাঙ্গন থেকে বেড়িবাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে উপজেলার নতুন করে বন্যা শুরু হবে। এতে চরম ঝুঁিকর মধ্যে পড়েছে চকরিয়া শহররক্ষা বাঁধ ও ঘুনিয়া পয়েন্টের বেড়িবাঁধ। এ অবস্থার কারনে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হলে যে কোন মুহুর্তে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে। বর্তমানে নদীর তীরবর্তী হাজার হাজার পরিবার ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমের আগের দুটি বন্যায় থানার ভেতর হাটু সমান পানি ঢুকে পড়ে। এ অবস্থায় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল সকাল থেকে টানা ভারী বর্ষণে আবারও পানি ঢুকে পড়েছে থানার উঠানে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে রাতের মধ্যে থানার ভেতরে পানি গড়াগড়ি খেতে পারে। #

পাঠকের মতামত: