ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ার কোটবাজারে ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ বিক্রি হচ্ছে!

medicine_bd_pratidinফারুক আহমদ, উখিয়া :::

উখিয়ার কোটবাজার ষ্টেশনে ফার্মেসী গুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ বিক্রির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ বিক্রির নামে কতিপয় ফার্মেসীর মালিক মুনাফা লাভের লোভে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিু মানের ঔষুধ রোগীদেরকে বিক্রির নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ খেয়ে একজন রোগী মারাতœক জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগও করা হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায় উপজেলার ব্যস্ততম কোটবাজার ষ্টেশনে অসংখ্য ফার্মেসী রয়েছে। ফার্মেসীর আড়ালে বিক্রি নিষিদ্ধ কোম্পানীর ঔষুধ সহ নিুমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ বিক্রি করে আসছে এমন অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের। কেউ এ ধরণের অনৈতিক ও গর্হিত কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলেও ফার্মেসীর মালিক তা কর্ণপাত করে না।

অভিযোগে প্রকাশ, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ চৌধুরী পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ হোছন আলী (৭০) একজন হাঁপানি (শ্বাসকষ্ট) রোগী। তিনি গত ১৭ জুলাই কোটবাজার ষ্টেশনের চৌধুরী টাওয়ারের অবস্থিত জামাল ফার্মেসীতে ওয়ৎধংড়ষ রহযবষধৎ নামক গ্যাস ক্রয় করতে গেলে মালিক জামাল আমাকে উক্ত গ্যাস না দিয়ে অন্য একটি কোম্পানীর অংপড়হ রহযবষধৎ (২৫০) নামক গ্যাস দিয়ে ২৩০ টাকা দাম আদায় করে।

রোগীর ছেলে এরশাদ উল্লাহ জানান উক্ত গ্যাস শ্বাসকষ্টে ব্যবহার করার পর আমার পিতার অবস্থা উন্নতির পরিবর্তে অবনতি দেখা দেয়। এমনকি শ্বাস-নিশ্বাস বন্ধ হওয়ায় উপক্রম হলে জীবন সংকটাপন্ন হয়। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক ওয়ৎধষরহ রহযবষধৎ নামক গ্যাস ব্যবহার করে কোন রকম জীবন রক্ষা পায় আমার পিতা।

এদিকে জামাল ফার্মেসীতে শ্বাসকষ্ট রোগের অংপড়হ রহযবষধৎ (২৫০) নামক যে গ্যাসটি বিক্রি করা হয়েছিল তার মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্যাস বিক্রির অভিযোগ এনে হয়রানীর শিকার হোছন আলী বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই জামাল ফার্মেসীর মালিক নাছু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযুক্ত জামালকে ডেকে এনে সর্তক সহ ৫শ টাকা আদায় করে।

সচেতনমহলের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে জামাল ফার্মেসী ও মরিয়ম ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিু মানের ঔষুধ বিক্রি করে আসছে। গ্রামের সহজ সরল লোককে এসব ঔষুধ উচ্চদামের বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দুর্লোভী ও অসাধু ফার্মেসী ব্যবসায়ীরা রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এমনকি অনেক নিরহ রোগী মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ খেয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছে। জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ বিক্রির নামে এ ধরণের প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে সুশীল সমাজের অভিমত।

##

পাঠকের মতামত: