ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

রামপুর সমিতির চিংড়িঘেরটি বুঝিয়ে দিতে উচ্চ আদালতের আদেশ মানছে না সংশ্লিষ্টরা

adalotচকরিয়া অফিস :

রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির মালিকাধিন ২৫০একর চিংড়িঘেরের দখল বুঝিয়ে দিতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না কক্সবাজার আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত ৭জুলাই সমিতির সদস্যরা আদালতের আদেশ নিয়ে চিংড়িঘেরে অবস্থান করলে পুলিশের সহায়তা কপি ছিড়ে ফেলে দেয়। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেন।

রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সদস্যরা জানান, দীর্ঘদিন দিন ধরে আরএস ১০৮৪, বিএস ২০২৯ দাগের ২৫০একর চিংড়িঘেরটি পর্যায়ক্রমে সমিতির সদস্যরা শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখল করে আসছিলো। কিন্তু মৎস্য বিভাগের জেলা ও উপজেলা পযার্য়ের কর্মকর্তা, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি’র অবৈধ হস্তক্ষেপে সমিতির সদস্যদের উচ্ছেদ করার চেষ্ঠা করে। গত ৭ জুলাই সমিতির প্রায় ৮ শত সদস্য তাদের দখলীয় চিংড়িঘেরটি বুঝে নিতে যায়। ওইসময় রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বাধা দেয়। সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একপর্যায়ে হাইর্কোটের নিষেধাজ্ঞার আদেশ কপি (পিটিশন নং ১০৯৬২/১২ এর ১২-০৮-২০১২ ইং স্ট্যটাস-কু) ১২-০১-২০১৭ ইং আদেশ মূলে পিটিশন নং ২৬১/২০১৭ এর ০৬/০৬-২০১৭ ইং নিষেধাজ্ঞার মুলে) পুলিশের হাতে দিলেই ছিড়ে ফেলে দেয়। ওইসময় উপস্থিত মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ সমিতির সদস্যদের লাঠিচার্জ করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সমিতির সদ্যদের তাড়িয়ে দেন। ওইদিন প্রায় ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরণের মালামাল নষ্ট করে দেয় পুলিশ।

সমিতির সভাপতি আবু জাফর জানান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মানছে না। ওল্টো হুমকি ধমকি দিয়ে সমিতির সদস্যদের চিংড়িঘের থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। এব্যাপারে গত ১৩ জুলাই উচ্চ আদালতের আদেশ কপি সহ সমিতির সদস্যদের চিংড়িঘের বুঝিয়ে দিতে এবং অবৈধ হস্তক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সদস্যরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদনপত্র দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: