ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ার চরণদ্বীপের ৬টি চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি, ৪ লাখ টাকার মাছসহ মালামাল লুট, আহত ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক ::dakati-21
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ চিংড়ি জোন এলাকায়  ১০ জুলাই গভীর রাত ২টা থেকে ভোর রাত ৪ টা পর্যন্ত ৩শ একর বিশিষ্ট ৬টি চিংড়ি ঘের সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় ৮ ঘের মালিক, কর্মচারী গুলিবিদ্ধ ও মারধরে গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় ডাকাতদল ওই ৬টি চিংড়ি ঘের থেকে মাছ, জাল, মোবাইল সেট, নগদ টাকা, টর্চ লাইট, চালসহ ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
ডাকাত কবলিত  চিংড়িঘেরের মালিকরা হচ্ছে, বুড়িপুকুরের মোস্তাক আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন, ডুলাহাজারা রিংভং এলাকার সাহাব মিয়ার পুত্র নুরুচ্ছাফা, রিংভং এলাকার আবুল বশর, মালূমঘাটা আল মদিনা ফিশিংয়ের মালিক জাফর আলম, কাটাখালী ফকির আহমদের পুত্র মো: আলম।
ঘের মালিক ও কর্মচারীরা জানান, ২২ সদস্য বিশিষ্ট ওই ডাকাত দলের হাতে মারাত্মক অস্ত্র সশস্ত্র ছিল। তারা ওই ৬টি চিংড়িঘেরে একের পর এক লুটতরাজ, হামলা চলানোর সময় ঘের মালিক ও কর্মচারীরা ডাকাতদের বাঁধা দিলে তাদের লক্ষ্যকরে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে ডাকাতদল তাদের রশি দিয়ে বেঁধে রেখে নিজেরা মাছসহ মালামাল গুলো লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতদের গুলি ও হামলায় আহত হয়েছেন, ঘের মালিক নুরুচ্ছাফা (৪০), জমির (৩৫) মো: আলম (৫০), মো: মুছা (৪২), ঘের কর্মচারী জসিম (২৬), গিয়াস উদ্দিন (২৫), হারুন (২৮), জালাল (৪৮)। গুলিবিদ্ধ ঘের মালিক ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের ফকির আহমদের পুত্র মো: আলম ও কর্মচারী একই এলাকার মো: হারুনকে মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে চিংড়িঘেরে ডাকাত আতংকে ঘের মালিক ও কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত আতংকিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
পাশ^বর্তী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী, কাটাখালী ও চরণদ্বীপ এলাকা থেকে সশস্ত্র ডাকাতরা প্রতি জোতে সশস্ত্র হানাদিয়ে মাছসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ঘের মালিকদের পক্ষ থেকে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকের মতামত: