ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

লামায় অর্ধ শতাধিক স্থানে পাহাড়ধস সবাই তালিকা করে নেয়, কেউ ত্রাণ দেয়না

Photo 06.07.17 (8)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ

টানা ৫ দিনের বৃষ্টিপাতে ঘর বন্ধি। তারপরে গত মঙ্গলবার ভোরে পাহাড় ধসে পড়ে ঘরের উপর। সব কিছু এখন মাটির নিচে। ঘরের তিনজন ব্যাথা পেয়েছে। অন্যের ঘরের বারান্দায় এসে আশ্রয় নিয়েছি। অনাহারে ও বিনা চিকিৎসায় দিনাতিপাত করছি। সবাই এসে তালিকায় নাম লিখে নিয়ে যায়, কেউ কোন সহায়তা করেনা। অসুস্থ সন্তানকে বুকে জড়িয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলেন, লামা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মরাঝিরি এলাকার মৃত আঃ ছালাম এর ছেলে ছমির উদ্দিন (৫৫)।

গত ৫দিনের টানা বর্ষণে লামা উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক স্থানে পাহাড় ধসে মানুষের বসতবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই সব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ সব কিছু হারিয়ে ৩ দিন যাবৎ খোলা আকাশের নিচে বা অন্য কারো ঘরে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের কাছে পৌঁছায়নি সরকারী বে-সরকারী কোন সহায়তা। এমনকি পাহাড় ধসের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কোন তালিকা নেই উপজেলা প্রশাসনের কাছে।

জানা গেছে, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে লামা পৌরসভা এলাকার রাজবাড়ির আবুল কাসেম(৪৮), চেয়ারম্যান পাড়ার জাহাঙ্গীর আলম (২৮), নারকাটা ঝিরির মোঃ রাসেদ (৩৭), রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড জামালপুর গ্রামের মোঃ দুলাল (৪০), ৬নং ওয়ার্ড চিংকুম পাড়ার মোঃ হাসেম (৪৫), ৯নং ওয়ার্ড আলীয়াং বাবু পাড়ার সুজন ত্রিপুরা (৩৫), মনিন্দ্র ত্রিপুরা (৩৩), লামা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মরা ঝিরির ছমির উদ্দিন (৫৫) ও তার ছেলে মমিনুর রহমান (২৬) এবং ফাইতং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সোনাইছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে। যাদের কারো কাছেই কোন সহায়তা পৌঁছাইনি।

রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, আমার ইউনিয়নে ৬, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ডে পাহাড় ধস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

এবিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, বিষয়টা আমি জানিনা। আপনাদের কাছে যাদের নামের তালিকা আছে আমাদের কাছে জমা দেন। আমরা যাচাই করে দেখব।

পাঠকের মতামত: