ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রবেশমুল্য বেড়েছে দিগুন: দর্শনার্থী আগমনে ছন্দপতন!

sapaএম. জিয়াবুল হক, চকরিয়া  :::

জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ঈদের ছুটিতে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৮ হাজার পর্যটক-দর্শনার্থী পার্কে ঢুকে ভ্রমন করেছে সেখানে মাত্র একদিনের ব্যবধানে দশনার্থী আগমনে বড় ধরণের ছন্দপতন ঘটেছে। নতুন অর্থবছরের শুরুতে পহেলা জুলাই থেকে সরকারি আদেশে দিগুন বাড়ানো হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রবেশমুল্য।

বর্তমানে অর্থমন্ত্রানালয়ের আদেশের আলোকে জারি করা নতুন পরিপত্রে প্রতিজন প্রাপ্ত বয়স্ক দশনার্থীর জন্য ৫০ টাকা ও প্রতিজন শিশু দশনার্থীর জন্য ২০ টাকা করে টিকেট মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত অর্থবছরে প্রতিজন প্রাপ্ত বয়স্ক দশনার্থীর প্রবেশ ফ্রি মাত্র ২০ টাকা ও শিশু দশনার্থীর জন্য ছিল ১০টাকা। একই সাথে বাড়ানো হয়েছে পাকিং ফি ও অপরাপর খাতের টিকেট মুল্য।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের তত্তাবধায়ক (রেঞ্জ কর্মকর্তা) মো.মোরশেদুল আলম। তিনি বলেন, নতুন বাজেটের আওতায় অর্থ মন্ত্রানালয়ের সিদ্বান্তের আলোকে পার্কের দশনার্থী প্রবেশমুল্য বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত পূর্ব প্রস্তাবিত প্রজ্ঞাপনের কপি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কাজেই সরকারি নির্দেশনার আলোকে পার্কের সকল রাজস্ব খাতের প্রবেশ মুল্য বেড়েছে।

চকরিয়া পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমআর মাহমুদ বলেন, সরকার গাজীপুর সাফারি পার্কে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। শত প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী সেখানে সরবরাহ করেছে, পাশাপাশি সেখানের পর্যটন স্পট গুলোকে দর্শনীয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, গাজীপুরের বদলে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে সরকার সেই ধরণের দৃশ্যমান উন্নয়ন করেনি। এছাড়া বর্তমানে পর্যটক-দশনার্থীদের দেখার মতো জীববৈচিত্রও নেই এখানে। তারপরও এখানে অতিরিক্ত প্রবেশমুল্য বাড়ানোর বিষয়টি অবশ্যই দু:খজনক। তিনি দাবি করেন, প্রবেশমুল্য আগের অবস্থায় ফিরে না আনলে সহসা ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। পাশাপাশি পর্যটক-দর্শনার্থী আগমন বন্ধ হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর জুন মাসে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের গেইটটি বিপুল টাকা রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। নতুন অর্থবছরে (২০১৭-১৮) পার্কের গেইটটি ৮১ লাখ টাকায় ইজারা দেয়া হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা বেশি। জুলাই মাসের প্রথমদিন থেকে ইজারাদার পক্ষ গেইটের টিকেট বিক্রি করার কথা থাকলেও কার্যাদেশ এখনো হাতে পায়নি তাঁরা। ফলে সাফারি পার্কের সংশ্লিষ্টরা নতুন প্রজ্ঞাপনের আলোকে পহেলা জুলাই থেকে পার্কের গেইট ফি উত্তোলন করছেন। #

পাঠকের মতামত: