ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চালের মজুত আছে, অসাধু ব্যবসায়ীরাই দাম বাড়িয়েছে -খাদ্যমন্ত্রী কামরুল

kamrulডেস্ক নিউজ:

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘হাওরের বন্যায় আমাদের যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছে। আমাদের রেজিস্টার্ড ডিলারদের কাছে বর্তমানে ১ কোটি ৬ লাখ টন চাল মজুদ আছে। তবে হঠাৎ করে আমাদের মজুত কমে গেছে এ কথা সত্য। এ কারণে আমরা চাল আমদানি করছি।’

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রী আগামী অর্থ বছরের বাজেটে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাতে আরও বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করলে কয়েকজন সংসদ সদস্য তাতে আপত্তি তোলেন। ওই আপত্তির জবাব দিতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, ‘ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল অতি শিগগিরই দেশের বাজারে আসবে। দরপত্র আহ্বান করা দেড় লাখ টন চালও আসবে। মোট চার লাখ টন চাল পাইপলাইনে আছে। আমাদের নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমদানিকৃত চালের ওপর ট্যাক্স কমানোর জন্য এপ্রিল মাসে এনবিআর-এ আবেদন করেছিলাম। তখন যদি ট্যাক্স কমানো হতো এবং আমদানিকৃত চাল দেশে আসতো তাহলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কিছুটা সময় দেরি করে প্রধানমন্ত্রী চালের ওপর শুল্ক কমিয়ে দিয়েছেন। এতে আর কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে ১ মণ চাল উৎপাদনে খরচ হয় ৭০০ টাকা। আর কৃষকরা এবার ধান বিক্রি করেছে ৯০০-৯৫০ টাকায়। কৃষকদেরকে এই সুযোগ দিতেই কিছুটা দেরি করে চাল আমদানিতে শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও থাইল্যান্ড থেকেও চাল আসবে। মজুত কিছুটা কম এ কথা স্বীকার করছি। যদি চালের মূল্য না বাড়তো তাহলে এ মুহূর্তে চার লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুত থাকতো কিন্তু চাল এসেছে মাত্র ৫৬ হাজার টন। তবে চাল আমদানি হলে ৩ লাখ টন মজুত দাঁড়াবে।’

ভিজিএফ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ভিজিএফ-এ ৫৫ লাখ পরিবারকে চাল দিচ্ছে। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে প্রত্যেক পরিবারকে চাল দেওয়া হচ্ছে। গত ৫ মাসে মোট ১৫০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।’ ভিজিএফ পদ্ধতি বাতিলের ব্যাপারে মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভিজিএফ তুলে দেওয়া উচিত, কিন্তু ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিএফ বরাদ্দ দিয়ে ফেলেছে যার কারণে ভিজিএফ বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই, চালের বদলে ভিজিএফ-এ গম দেওয়া হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত উন্নতমানের চাল ও গম আমদানি করি। চাল ও গমের মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠা ঠিক নয়।’ এসময় খাদ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘সবাইকে আমি আস্বস্ত করছি, চালের কোনও সংকট নাই।’

পাঠকের মতামত: