ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ঈদগাঁওতে শেষ মুহুর্তে নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটার ধুম পড়েছে

eid bazarসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে রমজান মাসের শেষ মুর্হুতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২০ রমজান থেকে ঈদগাঁও বাণিজ্যিক এলাকা বিপনী বিতান গুলোতে নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটার ধুম পড়েছে। বেশিরভাগ দোকানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। বিপনী বিতান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের বাজারে নারীদের পছন্দ নামীদামি ব্রান্ডের শাড়ি ও শেলোয়ার কামিজ। ক্রেতা সমাগমকে উপলক্ষ করে ইতোমধ্যে বিপনী বিতান সমুহের প্রায় দোকান সেজেছে বর্ণিল সাজে। প্রায় দোকানে তোলা হয়েছে নতুন ডিজাইনের কাপড় ও প্রসাধন সামগ্রী। এদিকে বিপনী বিতান গুলোতে নিবিঘেœ বেচাকেনা নিশ্চিত করতে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সরেজমিন দেখা গেছে, সদরের ঈদগাঁও নিউ মার্কেট, সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, হকার্স মার্কেটে রয়েছে প্রায় ১ হাজার দোকান। এসব দোকানে শোভা পাচ্ছে মেয়েদের পছন্দের পোশাক শেলোয়ার কামিজ কিরণমালা, আনার কলি, লেহেঙ্গা, পাগলো, শিলা, ছাম্মাকছালো, ঝিলিক, ফুলকলি, আনারকলি, শিপন, স্কাট টপস, থ্রি পিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট জয়পুরি, ছেলেদের নবাবী পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, ফতুয়া, টি-শার্ট, প্যান্ট এবং ছোটদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের তৈরি পোশাক।

ঈদগাঁওর মাকের্টগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, শেষমুহুর্তে বেশ জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা । তবে দেখা গিয়েছে গতবারের তুলনায় বছর ক্রেতা অনেক বেশি। প্রতিদিন হাজার হাজার ছেলেমেয়ে, মহিলা, পুরুষ ক্রেতারা কেনাকাটার জন্য সকাল থেকে গভীর রাত্র পর্যন্ত ভিড় করছেন বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্স ও নতুন করে আধুনিক ও মনোরম পরিবেশ নিয়ে প্রান কেন্দ্রে গড়ে উঠা মার্কেটে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পুরুষ ক্রেতার ছেয়ে মহিলা ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি। এবার ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের পোশাকগুলোর নাম তেমন শুনা না গেলেও ইন্ডিয়ান ইউনিটিকা, লং কোটি ওয়াইফাই, ক্যাকটাস , বাহুবলি থ্রি-পিস ও ফোর-পিসের নাম শুনা যাচ্ছে। তবে বিদেশী পোশাকের সাথে দেশী পোশাকেও বৈচিত্র্য এসেছে। এবার পুরুষ ক্রেতারা শর্ট পাঞ্জাবী দিকে জুকছেন বেশি। ঈদকে সামনে রেখে মজুদ যেমন বেড়েছে, তেমনি অতিরিক্ত লোকও নিয়োগ করা হয়েছে দোকানগুলোতে। চাঁদাবাজি না থাকায় বা বাজারে আসা যাওয়াতে ক্রেতাদের কোন রকমের হয়রানি না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ও ক্রেতারা খুব খুশি। তবে যত্রতত্র মাকের্টগুলোতে গাড়ী পাকিং এর কারনে সব সবয় বাজারে যানজট লেগে থাকায় সাধারন লোকজনের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে স্বল্প আয়ের লোকগুলো ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে দেখা গেছে।

মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ আইটেমের দেশী-বিদেশী জুতার বিপুল সমাহার ঘটেছে। জুতা কিনতে গিয়ে চয়েস না হওয়ার কারণ দেখিয়ে এখান থেকে ফেরত যেতে হয়না ক্রেতাদের। জুতো কিনতে আসা পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর সাইফুল ইসলাম জানায়, সুন্দর জুতো কিনেছি। খুব সুন্দর লাগছে। নতুন জুতো পড়ে আমি ঈদে যাব।

ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামান বলেন, পুলিশের নজরদারির কারনে মার্কেট গুলোতে এখনো পর্যন্ত নির্বিগ্নে ঈদের কেনাকাটা চলছে। তিনি বলেন, ঈদের দিন ভোররাত পর্যন্ত পুলিশের এই সেবা অব্যাহত থাকবে।

পাঠকের মতামত: