ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভারতের সেই বিচারপতি গ্রেপ্তার

JusticeCSKarnaninKolkata2নিউজ ডেস্ক:

প্রধান বিচারপতিকে কারাদণ্ড দেওয়ার পর আদালত অবনাননার জন্য শাস্তিপ্রাপ্ত ভারতের বিচারপতি চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনান গ্রেপ্তার হয়েছেন।

কলকাতা হাই কোর্টের এই বিচারককে মঙ্গলবার তামিলনাড়ু রাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।

গত ৯ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন ৬২ বছর বয়সী কারনান। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।

কারনানই ভারতের প্রথম বিচারপতি, দায়িত্ব পালনের সময় যার বিরুদ্ধে সাজার রায় হল।

পালিয়ে থাকা অবস্থায় সাজার রায়ের পর গত ১২ জুন অবসরে যান বিচারপতি কারনান।

তার আট দিনের মাথায় তামিলনাড়ুর কোইমবাটোরে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর তাকে রাজ্যে রাজধানী চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়।

ভারতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার আদালত অবমাননার দায়ে বিচারক কারনানকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের আদেশের সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারে কলকাতার পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনান চিন্নাস্বামী স্বামীনাথন কারনান
এরপর কলকাতা পুলিশ তাকে ধরতে চেন্নাই পর্যন্ত অভিযান চালালেও এতদিন সফল হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কর্মরত একজন বিচারপতিকে গ্রেপ্তার এড়াতেই পুলিশ দেরি করেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের বিচার বিভাগে কারনানকে নিয়ে নজিরবিহীন এই জটিলতার শুরু চলতি বছরের প্রথম দিকে। ওই সময় মাদ্রাজ হাই কোর্টে ছিলেন বিচারপতি কারনান।

তিনি ভারতের ২০ জন ‘দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকের’ নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি পাঠান।

এ ঘটনার পর তাকে বদলি করে কলকাতা হাই কোর্টে পাঠিয়ে দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, দলিত শ্রেণির মানুষ হওয়ায় তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

এরপর কথার লড়াইয়ের মধ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আট সদস্যের বেঞ্চ ১ মে বিচারপতি কারনানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিলে আরও ক্ষুব্ধ হন তিনি।

মানসিক সুস্থতা পরীক্ষার জন্য আসা চিকিৎসকদের ফিরিয়ে দিয়ে বিচারপতি কারনান নিজের বাড়িতে আদালত বসিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আট বিচারককে পাঁচ বছর করে ‘কারাদণ্ড’দেন।

 

পাঠকের মতামত: