ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগড়-ঈদগাও সড়কে পুলিশের চাঁদাবাজি

polic chadabajiনুরুল আজিম রিপন, ঈদগড়:
রামুর ক্রাইম জোন ক্ষেত ঈদগড়- ঈদগাও সড়কে দৈনন্দিন দুর্দশার যেন শেষ নেই।একদিকে ড়াকাত,অপহরণ কারীরা, অন্যদিকে যাত্রী সাধারন ও   ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন এমন অভিযোগ উঠেছে সড়কে টহল পুলিশের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ পুলিশের চাঁদার শিকার হন ঈদগড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম আবদুল মান্নানের স্ত্রী।

অভিযোগ মতে,  খুটাখালী নিজ পিতার বাড়ী থেকে পিকআপে করে ১টি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ হিমছড়ি এলাকায় গাড়ীটি আটক করে। প্রায় দুই ঘন্টা দাঁড করিয়ে রাখে।পরে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে পুলিশ।স্বামী আবদুল মান্নান বিষয়টি স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ঈদগাও আই,সি কে অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান। চাঁদা দিতে অপারাগতা জানিয়ে উল্লেখিত মহিলা গরু রেখে চলে যেতে চাইলে ৩শ্ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেই টহল পুলিশ।

অন্যদিকে সম্প্রতি চাঁদাবাজির মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা।সদরের ঈদগাও পুলিশ ঈদগড়-ঈদগাও সড়কের হিমছড়ি ঢালায় টহল দিয়ে ড়াকাত প্রতিরোধের কথা থাকলেও টহল পুলিশ তা মানছে না।

জানা যায়, জেলার বিভিন্ন  এলাকা থেকে মৌসুম ভিক্তিক আম,কাঠাল, কলা, সবজি ও বিভিন্ন মালামাল নিতে যাওয়া ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পুলিশ চাঁদা নেয় বলে জানান ঈদগাওর সবজি ও কলা ব্যাবসায়ী জহির আহমদ,কামাল হোচন, মোজাহের ও চকরিয়ার খলিলুর রহমান।তারা বলেন, প্রতি জীপ গাড়ী ( চাঁন্দের গাড়ী) কলা,সবজি ৩শ্ টাকা না দিলে গাড়ীতে অবৈধ মাল আছে এমন অভিযোগে মালামাল আনলোড করতে হবে  বলে  পুলিশ।তাই নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে যায় বলে জানান তারা।

কাঠাল ব্যাবসায়ী মনছুর আলম,জয়নাল ও মহেশখালী এলাকার বশির আহমদ অভিযোগ করে বলেন, গাড়ী প্রতি যেভাবে টাকা নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে  ব্যবসায়ীরা ঈদগড়ে কোন মালামাল কিনতে যাবে না বলে জানিয়েছেন ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যনকে অনেক বার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাইনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯জুন দুপুর পৌনে ১টার দিকে পুলিশের সাথে থাকা আনসার সদস্যরা এক প্রকার জোর করে চাঁদা নিচ্ছেন।এ  প্রতিবেদককে দেখে চাঁদার টাকা হাতের মুটোই নিয়ে তাডাহুডা করে পুলিশ বেষ্টনীতে ঢুকে পড়ে। তখন সেখানে একজন এএসআই পদবীর কর্মকর্তা উপস্তিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে ঈদগাও তদন্দ্র কেন্দ্রের ইন্চার্জ খায়রুজ্জমানের কাছে জানতে চাইলে জানান, বিষয়টি আমি অবগত নয়।টহল পুলিশকে সড়কে যাত্রী সাধারনের নিরাপত্তায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া আছে।তবে কারো বিরোদ্ধে এরকম অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্তা নেব বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: