ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ি ঢলে হুমকির মুখে বাঁকখালী নদীর সেতু

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::bakkhali

২০১২ সাল থেকে ভাঙনের শুরু। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুনে স্রোতের ধাক্কায় ৪০০ ফুট দীর্ঘ সংযোগ সড়ক বিলীন হয়ে যায়। তারপর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল দীর্ঘ দেড় বছর। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অন্তত দুই লাখের মতো মানুষকে। সম্প্রতি আবারো নদীর জলে বিলীন হতে আরম্ভ করেছে ওই এপ্রোচ সড়ক। এ গল্প নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত খালেকুজ্জামান সেতুর। স্বপ্নের সেতুটি রক্ষা হওয়া নিয়ে এখন আতঙ্কে আছেন দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক লোক সাধারণ।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহজাহান আলি বলেন, ‘আমরা নদী শাসনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে শত শতবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তাদের বাজেট বরাদ্দ না থাকায় স্থানীয় স্বল্প বাজেটে এপ্রোচ সড়ক পুননির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ বাঁকখালী সেতুর সংযোগ সড়ক বিলীন হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ দেড় বছর রামু উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও বাইশারি ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কৃষকরা। এ বর্ষা মৌসুমে আবারো সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হলে জনগণের মহাদুর্ভোগের পাশাপাশি নানামুখী সংকট তৈরি হয়ে সবদিকে বিপর্যয় নেমে আসবে। রোববার ১৮ই জুন সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁকখালী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাঁকখালী খালেকুজ্জামান সেতুর ৮৫ ভাগ অংশে পানি অতিবাহিত বন্ধ রয়েছে। তাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই সেতুর দক্ষিণ পাশে আঘাত হেনে এপ্রোচ সড়ক ভাঙছে। আর জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে কান্নার রুল। কিন্তু এ পর্যন্ত নদীর তলদেশ খনন করে সেতু রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যত কোনো ধরনের উদ্যোগ নেননি। অন্যদিকে পুননির্মিত এপ্রোচ সড়ক রক্ষায় কিছুটা হলেও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরাও শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করছেন। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সেতুকে নিয়েই আমাদের সব আবেগ আর অনুভূতি। সেতু অকার্যকর হলে অতদাঞ্চলের লাখো মানুষ অচল। সেতু রক্ষায় নানা চেষ্টার পরও এখনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বর্তমানে ইউপির নিজস্ব তহবিল থেকে সেতুর দক্ষিণ পাশে বল্লি ব্যবহার করে নদীতে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। তবে পাউবোর বরাদ্দ না পেলে সেতু রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।’

পাঠকের মতামত: