ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মাতারবাড়ি সড়কের টিকাদার লাপাত্তা॥ সড়কের উপর দিয়ে চলছে নৌকা

qqqqqqqqqসালাম কাকলীঃ   কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি সড়কের টিকাদার দেড় কোটি টাকার কাজ পেয়ে সামান্য কাজ করার পর লাপাত্তা  হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সড়কটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে । সড়ক দিয়ে লোকজন নৌকা যোগে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করছে। এতে মাতারবাড়ি বাসী খুব্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে উক্ত ভাঙ্গনস্থানটি নির্মাণের জন্য এয়ার মোহাম্মদ কোম্পানী ৭ লাখ টাকা বরাদ্ধ দিয়ে কাজ শুরু করেছে। এতে মাতারবাড়ি বাসী আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে।

 মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ্ বিএ জানান, গত বছর সোনামীর পানির ধাক্ষায় উক্ত সড়কটি ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে উক্ত সড়কটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষ প্রথমে ১৫ লাখ টাকা, পরে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়। তবুও লোকজনকে দীর্ঘ ৩ মাস যাবত গত বছর নৌকা যোগে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে হয়েছে। পরে উক্ত বরাদ্ধের টাকা দিয়ে কোন প্রকারের জোড়া তালি দেয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যান-বাহন চলাচল করতে সক্ষম হয়েছে। এই বছর উক্ত সড়কটি সংস্কারের জন্য এল.জিড়ি তত্ত্ববধানে দেড় কোটি টাকার টেন্ডার বরাদ্ধ দেয়া হয়। গত ২ মাস পূর্বে চকরিয়ার এক প্রভাবশালী টিকাদার উক্ত টেন্ডার পেয়ে উক্ত কাজ শুরু করে। টিকাদার শ্লথ গতিতে সামান্য কাজ করে আরো বহু কাজ অসম্পুন্ন রেখে কাজ বন্ধ করে লাপাত্তা দেয়। ফলে ঘূর্ণিঝড় মোরা ও লঘু চাপের প্রভাবে কোহলিয়া নদীর পানির ধাক্ষায় উক্ত সড়কটি ভেঙ্গে একেবারে বিলিন হয়ে গেছে। যার ফলে লোকজন নৌকা যোগে গত বছরের ন্যায় একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে হচ্ছে। এতে লোকজনের দূর্ভোগের শেষ নেই। ফলে উক্ত ভাঙ্গন স্থানটি নির্মাণের জন্য লম্বা ঘোনার মালিক মাতারবাড়ির বাসিন্দা এয়ার মোহাম্মদ কোম্পানী ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে উক্ত ঘোনার পরিচালক খোরশেদ আলমের মাধ্যমে শতাধিক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে গত ১৩ জুন থেকে কাজ শুরু করেছে। এতে মাতারবাড়ি সচেতন মহল জানান সরকার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা উক্ত কাজে সহযোগীতা করলে উক্ত সড়ক দিয়ে অচিরে যান-বাহন চলাচল করতে সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত: