ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মধ্যবিত্তের জমানো ১ লাখ টাকার ওপর অর্থমন্ত্রীর চোখ পড়েছে: ফখরুল

fakনিউজ ডেস্ক ::: 

খেলাফি ঋণ গ্রহীতাদের বাদ দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের চোখ মধ্যবিত্ত লোকদের ব্যাংকে জমানো ১ লাখ টাকার ওপর আটকে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার বিএনপির গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, একটি সূত্র মতে, লুটপাটের মহোৎসবে সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। জনগণের করের টাকায় মেটানোর চেষ্টা চলছে এই মূলধন ঘাটতি। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে সরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে ২০১১-১২ থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এমন কী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটেও ২ হাজার কোটি টাকা মূলধন বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। বাজেট বক্তৃতায় বুদ্ধিমান অর্থমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি চেপে গেছেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের রক্ত পানি করা টাকা শুষে নিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে ব্যাংকগুলো। কিন্তু খেলাপি ঋণ গ্রহীতারা রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অর্থমন্ত্রী তাদের চোখে দেখেন না। তার চোখ আটকে যায় মধ্যবিত্তের তিলতিল করে জমানো ১ লক্ষ টাকার ওপর। সরকারি ব্যাংকগুলো দলীয় লুটেরাদের হাতে তুলে দেওয়ার পর সরকার এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে পরিবারতন্ত্র কায়েমের জন্য আইন সংশোধন করে এক পরিবার থেকে দুই জনের স্থলে চার জন পরিচালক এবং পরপর দুই মেয়াদের পরিবর্তে তিন মেয়াদ অর্থাৎ টানা নয় বছর পরিচালক থাকা বৈধ ঘোষণা করেছে। এটি কেবল অনৈতিকই নয়, সাধারণ জনগণের পকেট মেরে দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের প্রশ্রয় ও উৎসাহ দেবার শামিল। যেখানে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সংস্কার করে আর যেন এই ধরনের লুটপাট না হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, সেখানে সরকার সংস্কারের দিকে না গিয়ে আরও সহজে লুটপাটের ব্যবস্থা করছে।

ফখরুল বলেন, নির্বিচারে ব্যাংকের অর্থ লোপাট এবং বিদেশে ঢালাও অর্থ পাচারের পরিণতিতে দেশের অর্থনীতির আজ যেই দৈন্যদশা, তা সামাল দেয়ার নিমিত্তে অর্থমন্ত্রী জনগণ থেকে সম্ভাব্য যেকোনো উপায়ে রাজস্ব আদায়ের সংস্থান রেখে এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান লাভের স্বপ্নজাল বুনে এক উচ্চমাত্রার বিলাসী বাজেট প্রণয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না। আর বধির হলেই বজ্রনাদ থেমে থাকে না।

পাঠকের মতামত: