ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া-টেকনাফে নৌকার মাঝি নিয়ে নয়া সমীকরণ

utকক্সবাজার অফিস :::

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে নৌকার মাঝি নিয়ে নয়া সমীকরণ শুরু হয়েছে। আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী কে হবেন স্বাভাবিকত মাস কয়েক আগে থেকে এমন গুঞ্জন চলছে সীমান্তের এ দু’জনপদের সর্বত্র। নির্বাচন আসতে বছর দেড়েক সময় বাকী থাকতেই প্রার্থী নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই এই আসনে। বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদির টিকিট বহাল থাকছে নাকি অন্য কোন নতুন মুখের সন্ধান পাবেন এ আসনের জনগণ তা নিয়ে আলোচনা সবখানেই।

এতদিন এ আসনে এমপি বদির বিকল্প হিসেবে দলীয় প্রার্থীতার দৌড়ে যারা এগিয়ে রযেছেন তারা হলেন, সাবেক সাংসদ ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, টেকনাফের শিল্পপতি মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।

সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের’র কক্সবাজার সফরে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো একটি নাম। শুধু তালিকায় নাম যুক্ত হওয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ উখিয়া-টেকনাফের সর্বত্র সে নয়া মুখটি গিরে উৎসুক জনতার আগ্রহের কমতি নেই। খুব সহসাই এ নামটিই এ আসনের প্রার্থীতার তালিকায় শীর্ষে ওঠে আসার সম্ভাবনাও বাড়ছে নানা কারণে।

হয়তো তিনিই আগামী জাতীয় নির্বাচনে উখিয়া-টেকনাফ আসনে নৌকার মাঝি হতে চলেছেন। তিনি আর কেউ নন, উখিয়ার সন্তান কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক সৎ ও সাহসী হিসেবে সবার কাছে প্রিয় এবং আস্থাভাজন তোফায়েল আহমদ।
এসময়ে এসে তাকে কেউ মনগড়া উখিয়া-টেকনাফ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেননি। হঠাৎ তালিকায় তার নাম ওঠে আসার বেশ যুক্তি দেখছেন এ আসনের সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।

প্রাথমিক যুক্তি হিসেবে জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যুক্তি হচ্ছে তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। তবে এমন প্রাথমিক বিশেষণ নিয়ে কি কেউ আওয়ামীলীগের মতো দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে পারেন ? অবশ্যই না। অবিসংবাদিত সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ কে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় নিয়ে আসছে মূলত দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সফর শেষে কক্সবাজার বিমান বন্দরে তার সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের কিছু দৃশ্যপটকে নিয়ে। কি ছিল অন্তরঙ্গ সে দৃশ্যপটে ?

উপস্থিত সাংবাদিকদের বর্ণনা মতে, কক্সবাজার বিমান বন্দরে বিদায় মুহুর্তে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিক তোফায়েল আহমদকে কাছে ডেকে নিয়ে জড়িয়ে ধরে মিনিট কয়েক সময় একান্ত আলাপচারিতা করেন। এসময় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এড.সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ জেলা নেতৃবৃন্দ সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ও সাংসদ আব্দুর রহমান বদি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এ দু’জনের আলাপচারিতার সেই অন্তরঙ্গ মুহুর্তটি উপস্থিত সাংবাদিকরা ক্যামেরাবন্দী করেন। পরবর্তী সাংবাদিকদের তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড হলে ব্যাপক ঝড় ওঠে। এক পর্যায়ে ছবি জেলায় ভাইরাল হওয়ারও উপক্রম। ছবিটি প্রথম আপলোড করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন যমুনা টেলিভিশনের কক্সবাজারের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইমরুল কায়েস।

স্ট্যাটাসে তিনি যুক্ত করেন, “উখিয়া-টেকনাফ আসনে সব বিতর্ক বাদ দিয়ে সৎ,নিষ্ঠাবান, সাহসী ও আদর্শবান কলম সৈনিক, কক্সবাজারের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি তোফায়েল আহমদকে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।” তার স্ট্যাটাসকে ঘিরেই মূলত উখিয়া-টেকনাফ আসনের আগামী নির্বাচনে নতুন প্রার্থীর হিসেব নিকেষ শুরু হয়। তার এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যে অনেকে অনেক মত দিয়েছেন।

শাহাদত হোসেন জুয়েল নামে একজন মন্তব্যে লিখেছেন, মাফিয়াদের বাদ দিন, তোফায়েল ভাইকে নৌকা দিন।

আজিজুল হক রানা নামে একজন লিখেছেন, তোফায়েল ভাই যোগ্য প্রার্থী, কিছু না হোক অন্তত ইয়াবা বন্ধ হবে,

মন্তব্যে এইচ এম নজরুল নামে আরেকজন লিখেছেন উখিয়া-টেকনাফে তোফায়েল আহমদের চেয়ে যোগ্য কেউ আছে বলে মনে হয়না।

এভাবে আওয়ামীলীগের উখিয়া-টেকনাফ আসনের নতুন প্রার্থী হিসেবে তোফায়েল আহমদের প্রতি অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

যেই যাই বলুক, দুই দুই বারের সাংসদ হিসেবে কারণে অকারণে সাংসদ বদির প্রতি তেমন আগ্রহ নেই উখিয়া-টেকনাফ আসনে। স্থানীয় সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতে বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের রাজনীতিতে যোগ্য নেতার প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে। ইয়াবা নামক মাদকের কালেমা লেপন হয়েছে অনেকে নেতার গায়ে। সাধারণ নেতা কর্মীদের সাথেও অনেক নেতার যোজন যোজন দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

তাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি পেশাজীবি যোগ্য ব্যক্তির প্রতি দলীয় প্রার্থী হিসেবে নেতা কর্মীদের আগ্রহ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের এ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিক তোফায়েল আহমদের নামে ওঠে আসলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেনা। সুত্র কক্সবাংলা

পাঠকের মতামত: