চকরিয়া প্রতিনিধি ::
চকরিয়ায় বনভূমি দখল নিয়ে বনকর্মী ও জবরদখলকারীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। গতকাল ৭জুন দুপুরে ঘটেছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের নলবিলা বিটের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকার বনাঞ্চলে। বন জবর দখলকারী জামাত নেতা কাজী ফারুককে সরকার দলীয় উপজেলা পর্যায়ের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধি আস্কারা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসি জানায়, গতকাল ৭জুন সকালে চকরিয়া উপজেলার উত্তর লক্ষ্যারচরের জিদ্দাবাজার এলাকার বন খেকো নামে পরিচিত কাজী ফারুক ২০-২৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে নলবিলা বিটের অধীনের কাকারা মৌজার খেদারবান এলাকায় বনভূমি জবর দখল করতে যায়। এসময় বনকর্মীরা খবর পেয়ে নলবিলা বিটের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মিয়ার নেতৃত্বে একদল বনকর্মী দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় বনকর্মীদের সাথে জবর দখলকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসি জানায়; সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বনকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। কেউ আহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে নলবিলা বনবিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মিয়া বলেছেন, কাজী ফারুকের লোকজন পিছু হটেছে। উল্লেখ্য এ বছর কাজী ফারুখ ও তার বাহিনী ওই বনাঞ্চলের খেদারবান এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ গাছ কেটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে দৈনিক কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সবিস্তারে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও বন ধ্বংসকারীরা থেমে নেই। ন্যাড়া হয়ে যাওয়া বন আবারও তারা জবর দখল করতে গেলে বনকর্মীদের সাথে জবর দখলকারীরা মুখোমুখি হয়।
নলবিলা বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মিয়া আরও জানান; কাজী ফারুক জামায়ত নেতা হলেও তাকে সরকার দলীয় উপজেলার পর্যায়ের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতা ও স্থানীয় কয়েক জন নেতা সহযোগিতা দেয়ায় তিনি বন ভূমি দখলে ও নিধনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে কাজী ফারুকের কথা বলা হলে তিনি নিজেকে বনের ডন উল্লেখ তার কাছে নলবিলা ও কাকারা বন বিটের বহু বনভূমি দখল আছে বলে স্বীকার করেছেন। ##
পাঠকের মতামত: