ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ২৯জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক-৪

2tbfh-960x480-960x480faloupপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, তিন ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ বদ, নুর মুহাম্মদ মাদু ও জসিম উদ্দিন সহ ২৯জনকে আসামি করা হয়েছে। মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা আনোয়ারুল আজিম বাবুল বাদি হয়ে গত রবিবার (৪জুন) এ মামলাটি দায়ের করেন। যার নং-০৫/১৭। মামলায় মগনামা ইউনিয়ন বিএওয়াসিম-চেয়ারম্যাননপির সাধারন সম্পাদক হারুনুর রশিদ মানিক, আফজলিয়া পাড়ার সতের জনসহ মগনামা ইউনিয়নের মহুরীপাড়া, কোদাইল্যাদিয়া, পশ্চিমকুল, নুইন্নার পাড়া, হারুন মাতবরপাড়া, সিকদারপাড়া, করলিয়াপাড়া, বাজারপাড়া ও দক্ষিন মগনামার কালারপাড়া থেকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মগনামা ইউনিয়নের উত্তর মগনামা ফুলতলা ষ্টেশনসহ আশ পাশের বেশ কিছু গ্রামে এখনো থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। পেকুয়া থানা পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন হারুন মাতবর পাড়ার উলামিয়ার ছেলে নাজেম উদ্দিন, আফজলিয়াপাড়ার লাল মিয়া চৌকিদারের ছেলে আশরাফ মিয়া, মৃত.শামসুল আলমের ছেলে জামাল উদ্দিন ও বাজারপাড়ার মোস্তাক আহমদের ছেলে সেলিম উদ্দিন। সোমবার আটককৃতদের আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গত শনিবার ও রবিবার উত্তর মগনামা ফুলতলা ষ্টেশনে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৭জন আহত হয়েছে। ফুলতলা ষ্টেশনে গত দু’দিনে ব্যাপক তান্ডবসহ রনক্ষেত্র পরিনত হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমিত করতে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ( বিকেল ৫টা) পুলিশ ষ্টেশনের নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেছে। স্থানীয়রা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড়েও স্লুইচ গেইটের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা নিয়ে ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সভাপতি খালেদ মোশারফ, তার ভাতিজা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী আরমান, বহু মামলার ফেরারী আসামি দিদারুল ইসলামের সাথে আফজলিয়াপাড়ার কিছু মৎস্য চাষির বিরোধ চলছিল। ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আজিম বাবুল ওই স্লুইচ গেইটকে কেন্দ্র করে ব্যঙখোয়াল ঘোনা, জাফর মাষ্টারের ঘোনা, রুকুরদ্বিয়া, দরদরিঘোনার আংশিকসহ বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য ও লবন চাষিদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে গত কয়েক দিন আগে আ’লীগ নেতা বাবুল মৎস্য চাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। মৎস্য চাষিরা জোট বদ্ধ হয়ে চাঁদা না দিতে তৎপর হন। আনোয়ারুল আজিম বাবুল আধিপত্য নিতে গত কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে ফেরারী আসামি সাবেক ছাত্রদল ক্যাডার দিদারকে মগনামায় নিয়ে আসে। ঘটনার আগের দিন রাতে দিদার, খালেদ, আনিস, আরমানের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা বাবুলের নির্দেশে মগনামা জেটিঘাটে পাউবোর স্লুইচ গেইট আটকিয়ে দেয়। এনিয়ে আফজলিয়াপাড়ার লোকজন ওই দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দেয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারা ফুলতলা ষ্টেশনে আমিনুল হকের ছেলে বেলালসহ আফজলিয়াপাড়ার কয়েক জনকে মারধর করা হয়। এ সময় আফজলিয়াপাড়ার লোকজন ষ্টেশনে জড়ো হয়ে তাদের ফের ধাওয়া দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলি হয়। স্থানীয়রা জানায় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে মুলত আফজলিয়া পাড়া ও খালেদ মোশারফ গংদের মধ্যে। তারা দু’পক্ষ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। মামলার বাদি হয়েছেন আ’লীগ নেতা আনোয়ারুল আজিম বাবুল। একই মামলায় আসামি করা হয়েছে মগনামা ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজনকে। ২৯জন আসামির মধ্যে সাতজন হচ্ছেন আ’লীগের নিবেদীত কর্মী। ঘটনা হয়েছে ফুলতলা ও আফজলিয়াপাড়ার মধ্যে। কিন্তু আসামি করা হয়েছে দশটি গ্রামের বাসিন্দাকে। এদিকে বিএনপি দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ক্ষমতাসীন দলের সাতজন নিবেদীত সক্রিয় কর্মীকে আসামি করায় এলাকায় বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়েছে। মামলার বাদি একজন চাঁদাবাজ। সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি কোন ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষও নন। এরপরেও বাদি হওয়ায় মামলার স্বচ্ছতা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

############

পেকুয়ায় চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের নিন্দা

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়া উপজেলা শাখা। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন পেকুয়ার সভাপতি শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন, সাধারন সম্পাদক উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় মগনামা সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় যে মামলা রের্কড় করা হয়েছে তাতে আসামি করা হয়েছে মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে। এটি তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত। ঘটনার সাথে চেয়ারম্যান ওয়াসিম জড়িত নন। একটি মামলাবাজ চক্র ওই ঘটনায় তাকে অহেতুক জড়িয়েছেন। তাকে ঘায়েল করতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ওয়াসিম জনগনের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এলাকার উন্নয়ন ও বিচার শালিস প্রতিষ্টা করতে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্র করে থাকেন। আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার এ খবরে খুবই মর্মহত। এটি উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে পড়ে। জনপ্রতিনিধির সাথে এ ধরনের আচরন জঘন্য ও বর্বর। এ মামলার ফলে তার মানবাধিকার ভুলন্ঠিত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে ওয়াসিমের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যহারসহ মামলা থেকে তার অব্যহতি চাই। বিবৃতিদাতারা হলেন টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বারবাকিয়ার চেয়ারম্যান বদিউল আলম জিহাদী, সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ।

পাঠকের মতামত: