মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
৩০ মে মঙ্গলবার লামা উপজেলায় আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এসময় লামা উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতির শিকার হয়েছিল। ২৯ মে হতে ৩ জুন পর্যন্ত ৬দিন যাবৎ নেই বিদ্যুৎ। রোজার মাস ও গরমকাল হওয়ায় সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ চরমে। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও কবে নাগাদ বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া যাবে তা বলতে পারছেনা লামা বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের অবহেলাকে দায়ী করছে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পায়নি ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। ফলে খাদ্য অভাব ও পানীয় জলে কষ্ট পাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, লামা পৌর এলাকায় সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলে ২ হাজার পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া প্রচুর গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। ক্ষতির শিকার হয়নি এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সব মিলিয়ে শুধু লামা পৌরসভায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।
সরজমিনের ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অনেক গৃহহীন মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সিয়াম সাধনার মাস ও বর্ষাকাল হওয়ায় মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়ে হয়েছে কয়েক গুণ। তাছাড়া দূর্যোগের পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ভাপসা গরমে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিকুর রহমান মজুমদার বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া হাসপাতাল পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রোগীদের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে কয়েক গুণ। বিশেষ করে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরা গ্যাস দিতে না পেরে প্রচুর কষ্ট পাচ্ছে। অপরদিকে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ দিতে পারবে তার কোন সুনিদিষ্ট সময় বলতে পারেনি লামা বিদ্যুতের আবাসিক প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ অলিউল ইসলাম।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের আরো আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। বিদ্যুৎ বিহীন আধুনিক জীবন যাত্রা পরিচালনা অসম্ভব। আগামীকাল লামার ক্ষতিগ্রস্থদের দেখতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি লামায় আসবেন।
পাঠকের মতামত: