ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ‘ঘুর্ণিঝড় মোরা’ তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গত পরিবারে ১২ মে. টন ভিজিএফ চাল বিতরণ

ঙঙঙঙএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ‘ঘুর্ণিঝড় মোরা’ তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গত পরিবারের মাঝে গতকাল বুধবার সরকারিভাবে বরাদ্দের ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে উপজেলায় ১০ হাজার ২২৮টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তারমধ্যে সম্পুর্ণভাবে ভেঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে ১ হাজার ২৩৬টি বসতি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৯হাজার ৩৫টি বসতঘর।

ঘুর্ণিঝড়ের আগেরদিন সোমবার রাতে উপজেলার প্রায় শতাথিক সাইক্লোন সেল্টার কাম স্কুল ভবনে অবস্থান নেন ৭৪ হাজার ৭৩০জন নারী-পুরুষ। এদিন রাতে দুর্গত এসব মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার চিড়া ও গুড় বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এসব এলাকার জনগনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে সরকারিভাবে ১২ মেট্রিক টন চাল।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.দিদারুল আলম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জোবায়ের হাসান উপস্থিত থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দুর্গত মানুষের মাঝে ভিজিএফ কর্মসুচির চাল বিতরণ করেন।

উপজেলার চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিমের দাবি, ‘ঘুর্ণিঝড় মোরা’ তান্ডবে উপজেলার ১০ হাজার ২২৮টি পরিবারের বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। লক্ষাধিক মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ এসব মানুষের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ১২ মেট্রিক টন চাল। যা চাহিদার তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। জনপ্রতিনিধিরা সরকারি ত্রাণ সহায়তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের আগেরদিন সোমবার রাতে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নেয়া দুর্গত মানুষের মাঝে প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিকভাবে শুকনো খাবার চিড়া ও গুড় দেয়া হয়। গতকাল বুধবার দুর্গত এসব মানুষের মাঝে সরকারিভাবে প্রাপ্ত ভিজিএফ বরাদ্দের ১২ মেট্রিক টন চাল ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ঘুর্ণিঝড় ‘মোরা’ তান্ডবে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে অন্তত এক হাজার বসতঘর বিধস্ত হয়েছে। তারমধ্যে ৮০টি বসতঘর সম্পুর্ণভাবে ভেঙ্গে মাটির সাথে লুটিয়ে পড়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রানালয়কে অবহিত করা হয়েছে। #

পাঠকের মতামত: