ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সংসদে প্রধানমন্ত্রী: ২২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে

hasinaaঅনলাইন ডেস্ক :::
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উপকূলীয় মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ২২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে। ভবিষ্যতে আরও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১৬) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতার জন্য ১২টি স্মল মেরিন রেসকিউ বোট, ৪টি একুয়াটিক সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোট, ১৩টি উদ্ধার মোটরযান কেনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগাম সতর্কবার্তা পাঠানোর জন্য মেগাসাইরেন ফোন এবং স্যাটেলাইট মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আপদকালীন সময়ে মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার, জিআর চাল, জিআর ক্যাশ, চাল, ঢেউটিন, কম্বল ও সাময়িক আশ্রয়ের জন্য তাবু বরাদ্দ দেয়ার জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বেরিবাঁধ নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জুলাই ২০০৯ হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ৬৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং প্রায় এক হাজার ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ পুনঃনির্মাণ/পুনরাকৃতিকরণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উপকূলবর্তী খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা,পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর জেলায় ১৭টি পোল্ডারকে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা উপযোগী করে বাঁধগুলোকে মজবুত ও উচ্চতা বৃদ্ধি করার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে তিন হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: