ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং : বাড়ছে যানযট

court-bazar-_1উখিয়া প্রতিনিধি :::

উখিয়ার জনবহুল স্টেশন উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যা স্টেশনব্যাপী যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এবং যাত্রী উঠানামার ফলে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে যাত্রীদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। যানজট নিরসনে লক্ষ্যে উওজেলায় একজন ট্রাফিক নিয়োগ করা হলে ও কালেভদ্রে তার দেখা মিলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উখিয়া উপজেলার কক্সবাজার -টেকনাফ মহাসড়কে উখিয়া সদর, সদরের গরু বাজারস্থ রোড়, কোটবাজারে চৌরাস্তার মাথা, কোটবাজার -ইনানী সৈকত রোড়, ভালুকিয়া রোড, মরিচ্যা বাজার ষ্টেশন, বাজারের পাতাবাড়ি রাস্তার মাথাসহ যত্রতত্র অটো রিকশা, টমটম, সিএনজি গাড়ি পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা করা হচ্ছে। প্রশাসন কতৃক গাড়ি পার্কিং এবং যাত্রী উঠানামার নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত থাকলে ও তা মানা হচ্ছে না। ফলস্বরুপ সাধারণ পথ যাত্রীসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ গামী শির্ক্ষাথীর মাঝে দুর্ঘটনা আতংক বিরাজ করছে। এইছাড়া ও ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এবং যাত্রী উঠানামার ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

জানা গেছে, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন ইতিপূর্বে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে একাধিকবার ফুটপাতের দখলবাজদের উচ্ছেদ করেছেন। এছাড়া ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করে স্টেশনের ওপরে যেকোনো ধরনের যানবাহন পার্কিং না করার জন্য বিধি নিষেধ আরোপ করেন এবং একাধিক বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে চালকদের সতর্ক করেন। কক্সবাজার -টেকনাফ মহাসড়কের নিয়োগপ্রাপ্ত লাইনম্যানদের অসহযোগিতা এবং চালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি এই দুরাবস্থার কারণ বলে জানা গেছে। উখিয়া সদরের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, দোকানের সামনে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং তাদের ব্যবসার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চালকরা কোনরুপ বাধানিষেধ মানছে না। আর ট্রাফিক পুলিশের সকালে দেখা মিললে দুপুরের পর আর দেখা মিলে না।

কোটবাজার -ইনানী সৈকত রোড়ের রাজ মোবাইল সিটির স্বত্বাধিকারী শরিফ মাহমুদ শাহজাদা জানান, সৈকত রোড় পর্যটনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও টমটম, অটো রিকশার যত্রতত্র পার্কিং করায় পর্যটক সহ সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেই সাথে ব্যবসায়ী ক্ষতির দিক ও রয়েছে। এইছাড়া ও ষ্টেশনে মাঝেমধ্যেই ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশনে ট্রাফিক পুলিশের জোর দাবী জানান তিনি।

ভালুকিয়া রোড়ের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা মোস্তফা কামাল জানান, ভালুকিয়া রোড়টি সবসময় অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন থাকে। তার উপর অদক্ষ চালক আর গাড়ি পার্কিংয়ের উৎপাত আমাদের চরমভাবে ভোগাচ্ছে। এই সড়কে প্রতিনিয়ত টমটম অটো রিকশা দুর্ঘটনায় আহত হয় অনেকে। তার উপর সড়কের পাশে শহিদ এটিএম জাফর আলম উচ্চ বিদ্যালয় নামক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মাঝে দুর্ঘটনা আতংক রয়েছে।

কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির পরিচালক ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হোসেন জানান, উপজেলার বাজারগুলো ইজারা দিয়ে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। কিন্তু যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এবং যাত্রী উঠানামার ফলে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রচণ্ড যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ী এবং সাধারণ যাত্রী স্বার্থে অবিলম্বে ব্যবস্তা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।

এই ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট (টিএসআই) শেখ মোহামায়াদ আবু সাঈদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: