ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

টেকনাফ স্থলবন্দর এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত কচ্ছপের গতিতে চলছে কার্যক্রম

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ  ::
tak
বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে টেকনাফ স্থলবন্দর। উন্নত মানের যন্ত্রপাতি না থাকায় কচ্ছপের গতিতে চলছে বন্দরের সকল কার্যক্রম। বলতে গেলে টেকনাফ স্থলবন্দরে সমস্যার শেষ নেই। তবে বন্দর কর্তপক্ষের নিয়ম-নিতির কোন কমতি নেই। নিয়মিত লেভার বকশীষ, নাইটফি, নদী খননের নামে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন খাতে চলছে নানা প্রকার অনিয়ম। তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করে আরো দেখা যায়, যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা আমদানী-রপতানী করে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে বন্দরের ব্যবসা চালু রেখেছে। অথচ সেই সমস্ত ব্যবসায়ীদের বসার জন্য কোন জায়গা নেই। প্রতিদিন প্রচন্ড গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং সরকারী রাজস্ব আদায়ে রেখে যাচ্ছে অগ্রনী ভুমিকা।

তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়, প্রতিদিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে প্রচুর পরিমান টাকা বন্দরের লেভারদেকে ঠিকমত বকশীষ না দিলে মালামাল উঠানামা হয় না। লেভাররা প্রতিট্রাক থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বকশীষ দিতে হয়। আবার নদী খনন করার নামে বছরের পর বছর ধরে বন্দর কর্তপক্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আদায় করছে প্রচুর পরিমান টাকা।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এখানে টেকনাফ স্থল বন্দরটি চালু হয়েছে দীর্ঘ ১৫ বছর আগে, অথচ নদী খনন করার কাজ একবার করেনি বন্দর সংলিষ্টরা।। এই ভাবে প্রতিমাস, প্রতিবছর বন্দর ব্যবসায়ীরা নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক বানিজ্য সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়ীদের মাঝে বিনিয়োগ বাড়াতে এক কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। সেই সুত্র ধরে গতকাল ২৫ মে বৃহ¯পতিবার বিকাল ৪ টায় বন্দর ব্যবসায়ীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষের উপ সচিব সনজয় চক্রবর্তী। চট্রগ্রাম কাস্টম¯ এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেন্ট অতিরিক্ত কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশারফ হোসেন, টেকনাফ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট লি: ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন, সোনালী ব্যাংক টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক উসমান গনি, স্থল বন্দর

কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক রামিন্দ বিকাশ চাকমা, ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্টের মধ্যে এম এ হাশেম, মীর কামরুজ্জামান, এম আবছার সোহেল, মো: জাব্বার, শওকত আলম, এম কাইছার জুয়েল, মো: সেলিম, নূর মোহাম্মদ, মোঃ নাছির ও নুরুল ফয়েজসহআরো অনেকে, মত বিনিময় সভায় আগত অতিথিদের সামনে টেকনাফ স্থল বন্দরের বিভিন্ন সমস্য, বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, টেকনাফ স্থল বন্দরে পন্য খালাসে দীর্ঘ সময় ব্যয়, শ্রমিক সংকট, নদী খনন না করে, নদী খননের নামে টাকা আদায়, স্কেল পরিমাপে দীঘ সূত্রিতা, নাইট র্চাজ, সেবা না দিয়ে বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, সন্ধাকালীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা করন, পন্য লোড আনলোড কাজে শ্রমিকরা প্রতিট্রাকে বকশিসের নামে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায়সহ বিভিন্ন প্রকার সমস্যার অভিযোগ তুলে ধরেন।

পাঠকের মতামত: