ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রবীন্দ্র-নজরুলের চেতনায় উদ্বুব্ধ হয়ে অসম্প্রদায়িক দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে -কক্সবাজারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

প্রেসবিজ্ঞপ্তি ::01

আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি মূলত তার সিংহভাগ দাবিদার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। উনিশ শতকের নবজাগরণের যে প্রধান সুর মানবতাবাদ, তা তাঁদের মধ্য দিয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে। নিরুদ্যম নির্জীব বাঙালিকে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন, পরাধীনতার তীব্র জ্বালা অনুভব করেই ক্ষান্ত হননি শৃঙ্খল মোচনের জন্য সব ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে দেশবাসীকে একত্রিত হতে বলেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সাম্য ও মানবতার কবি, বিদ্রোহের কবি নজরুলের চেতনায় উদ্বুব্ধ হয়ে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে সংস্কৃতিকর্মীদেরকে অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ সাংস্কৃতিক উন্নতি ছাড়া দেশ কখনো সকলের দেশে পরিণত পারে না। বুধবার রাতে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ) সাইফুল ইসলাম মজুমদার এসব কথা বলেন।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক পিন্টু আরেং এর সভাপতিত্বে ও কক্সবাজার জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ এবং শামীম আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় সদস্য এডভোকেট তাপস রক্ষিত, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, সাধারণ সম্পাদক নজীবুল ইসলাম, প্রবীণ শিল্পী প্রবীর বড়–য়া, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আহসানুল হক, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, কবি মানিক বৈরাগী।

জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, সৃজন সংগীত ভুবন, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যের দল। একক পরিবেশনায় অংশ নিবেন চট্টগ্রামের বরেণ্য সংগীত শিল্পী মো. হেলাল উদ্দিন, বরেণ্য রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী দীপক কুমার দাশ, আবৃত্তিশিল্পী প্রতিভা দাশ, ফাল্গুনি হৈমু।

পাঠকের মতামত: