ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় ও গাছ কর্তনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

CHAKARIA BIDDALAY, 23-5-17.,,বিশেষ প্রতিবেদক, চকরিয়া :::

চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি: আদায় ও বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানবন্ধন করেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সারাদেশের ন্যায় চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে চলমান ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের (এসএসসি) ফরম ফিলাপ কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিএম এনামুল হক সরকারি নিয়ম বিধি’র তোয়াক্কা না করে নিয়মবর্হিভূতভাবে অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রেশন ফি: আদায় করছে। অপরদিকে বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি শোভাবর্ধন গাছ কেটে ফেলেছে ওই প্রধান শিক্ষক। গাছ কর্তন ও অতিরিক্ত ফি: আদায়ের বিরুদ্ধে গত ২২মে দুপুরে বিক্ষোভ করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ১০ম শ্রেণির ছাত্র ইরান, সাঈদুর, ছোট, আবু ছালেক, জুনাইদ ও ফারহান সহ শতাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, স্যার (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনাম) ১০ম শ্রেণির চলমান রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি: আদায় করছেন। বিষয়টি শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আগামী বৃহস্পতিবার (২৬মে) ঘটনার বিষয়ে সরে জমিনে তদন্তে আসবেন বলে জানান।

বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মো: জুনাইদ জানিয়েছেন, তিনিসহ বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্র বিগত ৩মাসের বেতন বাবৎ সম্প্রতি ২৬১ টাকা করে পরিশোধ করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের বেতন অনাদায় দেখিয়ে নতুন করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শিক্ষার্থীরা আর দিতে পারবেনা বলে জানালে তাদেরকে উচ্চবাখ্য ও গালমন্ধ করেন। এমনকি আগামী বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরে জমিনে তদন্তে আসলে প্রধান শিক্ষকের পক্ষে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

অভিযোগ উঠেছে, বিগত বছর একইভাবে বিদ্যালয়ের সরকারী গাছ কেটে আত্মসাত এবং পাচারের সময় স্থানীয় জনতা হাতে-নাতে ধরে ফেলে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে রয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা ও ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতির অভিযোগ। প্রধান শিক্ষকের অপসারণে স্থানীয় জনতা ও বিক্ষোদ্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যে নিতে একাধিক চেষ্টা করেও মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: