ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

লামায় অবচেতন করে কিশোরী ধর্ষণ

aaমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামা উপজেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ঘুমের ঔষুদ খাইয়ে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। ২২ মে সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঠান্ডা ঝিরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষক আনোয়ার হোসেন (২৯) পিতা- মোঃ হোসেন, ইয়াংছা নতুন পাড়া, লামা ও মোঃ রুবেল (১৯) পিতা- অজ্ঞাত গ্রাম- কয়েরা ঘোনা, চকরিয়া, কক্সবাজার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।

ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মেয়ে বাড়ি পাশের নজীরের দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যায়। ফিরে আসার সময় পথে ওৎ পেতে থাকা দুই যুবক আনোয়ার ও রুবেল মেয়েকে মুখ চিপে ধরে পাহাড়ে তুলে ফেলে। সেখানে পানি জাতীয় এক প্রকার ঔষুদ খাইয়ে অবচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অনেক খোজাখুঁজির পরে মেয়ে পাওয়া যায়। এসময় ধর্ষক রুবেল পালিয়ে গেলেও আনোয়ারকে আটক করেছে স্থানীয়রা। আটক ধর্ষক আনোয়ার ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পের জিম্মায় রয়েছে।

ভিকটিম বলে, আমি গত বছর ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯ম শ্রেণী পাশ করে দশম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছি। পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে দশম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি। ধর্ষক আনোয়ার আগে অনেকবার আমাকে রাস্তায় উক্ত্যক্ত করেছে।

গুরুতর আহত কিশোরীকে রাত ১০টায় চিকিৎসার জন্য লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থার অবনতি দেখে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সহকারী মেডিকেল অফিসার কাউছার বলেন, মেয়েটি বার বার বমি করতে চাচ্ছে। তার অবস্থা ভাল নয়। তাই রেফার করা হয়েছে।

এবিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে মেয়ের বোন জামাই রহমত উল্লাহ লামা থানায় গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।

পাঠকের মতামত: