ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুই টাকার ছাগলে খাইল লাখ টাকার ক্ষেত: অপ্রতিরোধ্য পাথর পাচার

Photo 19.05.17 (1)মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

লামা উপজেলার ইয়াংছা-বনপুর-গয়ালমারা সড়ক। দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৬ কিলোমিটার। গত ২ বছরে এই রোডের উন্নয়ন ও মেরামতে সরকার প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। অথচ প্রশাসনের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় অবৈধ পাথর পরিবহন করতে গিয়ে সড়কটি আজ যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছে প্রতিদিন শতাধিক অবৈধ পাথরবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে অতি অল্প সময়ে রোডটি খানাখন্দে ভরপুর ও ভেঙ্গে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, লুৎফুর রহমান, চংপাত মুরুং সহ অনেকে জানান, প্রশাসনের শীর্ষ ব্যাক্তিরা ব্যাক্তিগত সুবিধা নিয়ে পারমিট ও নিলামের নামে কাগজ দিয়ে এই পাথর পাচারের সুযোগ করে দিয়েছে। সামান্য কিছু টাকা রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারের কোটি টাকার অবকাঠামো ধ্বংস করার দায়িত্ব কে নিবে ? স্থানীয় ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন বলেন, অতিবোঝায় পাথরের গাড়ী চলতে গিয়ে কয়েকটি ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলেছে পাথর ব্যবসায়ীরা। শীঘ্রই পাথর পাচার বন্ধ না হলে আসছে বর্ষা মৌসুমে এই রোডটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

ভুক্তভোগী জনগণ আরো বলেন, গত ৩ মে থেকে লামার সকল পাথর পারমিটের মেয়াদ শেষ। এখন নতুন কৌশলে পাচার হচ্ছে পাথর। পাথর ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সাথে গোপন চুক্তি করে ১টি পাথরের গাড়ী জব্দ দেখিয়ে নিলামের কাগজ বের করে যাচ্ছে কয়েক শত গাড়ী পাথর। প্রশ্ন হচ্ছে জব্দকৃত ১টি গাড়ী লামা থেকে চকরিয়া যেতে সময় লাগে কয়েক ঘন্টা। তাহলে নিলাম কাগজের মেয়াদ ৭ থেকে ১০ দিন দেয়া হচ্ছে কেন ? কার স্বার্থে ? প্রশাসন পাথর পাচার বন্ধে লোক দেখানো ভূমিকা দেখালেও আসলে তারা চায় পাথর পাচার হোক। তাতেই তাদের লাভ। চলাচলে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে অতিশয় সড়কটি পুণরায় মেরামত ও পাথরের ট্রাক চলাচল বন্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন এলাকাবাসী।

এবিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, পাথর ব্যবসায়ীরা আমাদের কথা শুনেনা। ব্যবসায়ীরা বলে তাদের কাছে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি আছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, পারমিট ছাড়া পাথর পাচারের কোন সুযোগ নেই।

পাঠকের মতামত: