ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে ডাকাতের আস্তানায় পুলিশ, ব্যাপক গুলি বিনিময় , আটক ২

ঈদগাও প্রতিনিধি ::coxs

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে গহীন জঙ্গলে একটি ডাকাতের আস্তানা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংঘটিত ঘটনায় ২ ডাকাতকে আটক করলেও তাৎক্ষনিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ১৭ মে বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ইউনিয়নের কালিরছড়া থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে হাদির ঝিরা নামক স্থানে। ঈদগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনার জানান, বৃহষ্পতিবার সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় এক রাখাল গহীন জঙ্গলে গরু খুঁজতে যায়। এসময় একটি পাহাড়ে ৫/৬ জনের একটি ডাকাতদল অবস্থান নিতে দেখে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে মেম্বারের মুঠোফোনের নাম্বার নিয়ে বিষয়টি তাকে জানালে তাৎক্ষনিক ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয়। তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে এএসআই মহিউদ্দীন, পিয়ারু, আবুল কাশেমসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আস্তানাগুলো ঘিরে রাখে। মেম্বার মিনার আরো জানান, ডাকাতদলের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আরো কয়েকটি জঙ্গল থেকে ১৫/২০জন ডাকাত একত্রিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ২/৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১০/১২ রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের লোকবল কম থাকায় আস্তানাটি ঘেরাও করে রেখে স্থানীয় প্রত্যেক মসজিদের মাইকে প্রচার করে এলাকার ৭/৮শত মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের সাথে অভিযানে অংশ নিচ্ছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে আরো একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ২ জন আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন অভিযান দলে থাকা এএসআই পেয়ার উদ্দীন। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে স্থানীয়দের ধারণা, ঐদিন সকাল ৯টার দিকে রামুর অরন্যঘেরা পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধানে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ধাওয়া খেয়ে তারা পূর্বদিকে অবস্থান নিচ্ছিল বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত: