ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আওয়ামীলীগ কর্মীর পরিবারের বসতভিটা জবর দখল করে প্রভাবশালীর পাকা স্থাপনা!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::11

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় গত কয়েক বছর পূর্বে চিহ্নিত দা বাহিনীর সন্ত্রাসীদের বর্বর হামলায় নিহত বৃদ্ধ উকিল আহমদের পরিবারের বসতভিটা জায়গা জবর দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরী করেছে প্রভাবশালীরা। স্থানীয় এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির আস্কারায় টইটং বটতলী স্কুল পাড়া গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্লাহর পুত্র ও নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী বৃদ্ধ উকিল আহমদের বসতভিটার ৫০৮ দাগের জায়গা জবর দখল করে পাকতা স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিন পূর্বে উকিল আহমদের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম পেকুয়া থানায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, টইটং বটতলী স্কুল পাড়া গ্রামের প্রভাবশালী নুরুল আবছারের পুত্র সাউথ আফ্রিকা প্রবাসী শহিদুল ইসলাম রোবেল সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বৃদ্ধ উকিল আহমদের নামীয় খতিয়ানভূক্ত ৫০৮ দাগের জায়গা জবর দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরী করেছে। এ কাজে অবশ্য প্রবাসী রোবেলকে সহায়তা করছেন স্থানীয় আরেক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি।

নিহত উকিল আহমদের পুত্র যুবলীগ নেতা আবদুল জলিল (সাবেক এমইউপি) অভিযোগ করেছেন, তার পিতা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি তাদের বসতভিটার জায়গা জবর দখলে নিয়ে রোবেলকে স্থাপনা তৈরীতে সহায়তা করেছে। এছাড়াও তার বাড়ীর সামনে তাদের কয়েকটি দোকানঘর ও জবর দখল নিয়েছে প্রভাবশালীরা। তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, বসতভিটা থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের অব্যাহতভাবে হয়রানী শুরু করেছে।

আবদুল জলিলের ভাই ও চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজের ইংরেজী বিভাগের মেধাবী ছাত্র মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেছেন, দা বাহিনীর গড়ফাদার হিসেবে পরিচিত সেই কুখ্যাত প্রভাবশালী আমাদের পরিবারের লোকজনকে নানানভাবে হয়রানী শুরু করেছে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে ওই দা বাহিনীর গড় ফাদারের নির্দেশে আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন আমাদের বসতভিটা ও জায়গা জবর দখলের জন্য ভূমিদস্যুরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: