ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকদের কল্যাণে ভর্তূকী দিচ্ছেন -ঈদগাঁওতে কৃষি বিভাগের ডিডি

dddমোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার এর উপ-পরিচালক আ.ক.ম শাহরিয়ার বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপে ৭০% ভর্তূকীতে প্রকৃত কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছেন। তিনি যান্ত্রিক কৃষি সরকার জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে আগামীতে অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানী করা যাবে। আর এর মাধ্যমে দেশ স্বাবলম্বি হবার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ লাভ করবে। তিনি ১১ মে সকালে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর ইসলামাবাদে রাইচ রিপার যন্ত্রের প্রদর্শনীর মাঠ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) এর আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্থানীয় চরপাড়া সড়ক প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও স্বাগত বক্তব্য দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো এনায়েত-ই-রাব্বি, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. নুর ছিদ্দিক, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. শামসুল হুদা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হক কাদেরী, ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন, ইসলামাবাদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা প্রমুখ। ইসলামাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জিকু দাশের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, জালালাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরফাতুর রহমান, পোকখালী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিখা শে^ত্রিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিপুল সংখ্যক কৃষক। অনুষ্ঠান শেষে নতুন এ কৃষি প্রযুক্তি দিয়ে স্থানীয় কৃষক মো. আবুল কাশেম, শহিদুল ইসলাম, আবদুচ ছালাম, মাহফুজুর রহমান, রেজাউল করিম, মফিজুল হক ও কবির আহমদের ধান কাটা হয়। উপস্থিত এলাকাবাসী কৃষি বিভাগের নতুন আবিষ্কৃত এ প্রযুক্তি দ্বারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন।

—————————————

গণমানুষের মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সচেতনতা তৈরি করতে হবে – ঈদগড়ে জেলা প্রশাসক

মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তির বার্তা নিয়ে এ ধর্মের প্রবর্তক বিশ^নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ইসলাম মানবতার ধর্ম। মানুষের কল্যাণ সাধনই এ ধর্মের মূল লক্ষ্য। হিংসা, হানাহানি, উগ্রতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ইসলাম কোনমতেই সমর্থন করে না। পৃথিবীর অপরাপর ধর্মগুলো আমাদেরকে শান্তির বাণী শোনায়। তিনি জঙ্গিপনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত তারা ইসলামের প্রকৃত অনুসারী নয় মন্তব্য করে বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে আমাদেরকে এ অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্বস্তরের গণমানুষের মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সচেতনতা তৈরি করতে হবে। জঙ্গিবাদকে সবসময় ঘৃণার চোখে দেখতে হবে। তিনি ১১ মে সকালে জেলার দূর্গম পাহাড়ী এলাকা ঈদগড়ে কক্সবাজার জেলার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বিশেষ মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন। রামু উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ড. এ.কে.এম ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম, রামু থানা অফিসার্স ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র, রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিব হাফেজ মাওলানা আবদুল হক, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৭ এর কর্মকর্তা রুহুল আমিন। বক্তব্য রাখেন ঈদগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল আলম ফেরদৌসী, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাঙ্গালী, ইউনিয়ন আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আয়ুব তাহের, বুড্ডিস্ট সমিতির সভাপতি তপন বড়–য়া, স্থানীয় শিক্ষিকা দিলোয়ারা বেগম প্রমুখ। ঈদগড়ের সাংবাদিক কামাল শিশিরের সঞ্চালনায় এ মত বিনিময়ে স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনতাসহ বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক লোকজন অংশ নেন। জেলা পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে বলেন, এলাকায় অপরিচিত লোকজনকে দেখলে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করবেন। সন্দেহজনক ব্যক্তিবর্গ থেকে যথা সম্ভব সাবধান থাকবেন। আত্মীয়-স্বজন বা পরিবারের কেউ এ কাজে যাতে সম্পৃক্ত হতে না পারে তার জন্য সবসময় আপনাদেরকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। তিনি জনগণের সচেতনতায় এলাকা থেকে সকল ধরণের সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিপনা দূর হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

পাঠকের মতামত: