ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ধর্ষিতাকে ‘নগ্ন করে পরীক্ষা’ করল পুরুষ পুলিশ!

 darঅনলাইন ডেস্ক ::: ভক্ষকের থেকেও ভয়ানক, এ কোন রক্ষক!

ধর্ষকদের শাস্তি চাইতে থানায় গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরীটি। কিন্তু, সেখানে ধর্ষণের প্রমাণ দেখতে চাইলেন এক পুরুষ পুলিশকর্মী! শুধু দেখতে চেয়েই ক্ষান্ত হলেন না, ওই কিশোরীকে নগ্ন হয়ে দাঁড়াতে বললেন।

পুলিশের সেই হুকুম মানতে না চাওয়ায়, বাবা-মায়ের সামনেই জোর করে তাকে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। এখানেও থামেনি পুলিশের ‘প্রমাণ’ নেয়ার পালা। আদৌ ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা ‘পরীক্ষা’ করে দেখতে এর পর কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন ওই পুলিশকর্মী। আর সবটাই করা হয় থানার ভিতরে, অন্য কয়েক জন পুলিশ কর্মীর সামনে!
গোটা ঘটনাটির কথা জানিয়ে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন ওই কিশোরীর বাবা। এই অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। থানায় ওই দিন ঠিক কী হয়েছিল, তা অবিলম্বে জানাতে সোমবার হরিয়ানা পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এর পর মঙ্গলবার রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব রাম নিবাস জানান, ঘটনাটি সত্যিই মারাত্মক! ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ২০ নভেম্বর হরিয়ানার কৈথল থানায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল বছর চৌদ্দ বছরের ওই কিশোরী। তার বেশ কিছু দিন আগে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরে বেশ কিছু দিন তুমুল শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা, পাশাপাশি প্রকাশ্যে আসার লজ্জা নিয়েই নিজেকে সে গৃহবন্দি রেখেছিল।

এ সব ধকল সামলে উঠতে বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই কিশোরীর বাবা-মা তাকে নিয়ে থানায় হাজির হয়েছিলেন। একটাই দাবি ছিল, ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি চাই। কিন্তু, অভিযোগ জানাতে যাওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের কল্পনাতেও ছিল না থানায় কোন অভিজ্ঞতা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে! প্রথমেই জুটেছিল পুলিশ কর্মীদের চরম অবহেলা এবং বাঁকা দৃষ্টি। তার পর ওই ভয়ানক অভিজ্ঞতা।

আপাতত আদালতের ভরসাতেই রয়েছে ওই পরিবার। ভক্ষকের পাশাপাশি তাদের দাবি, রক্ষকের শাস্তিও।

পাঠকের মতামত: