ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ার তিনটি ছড়াখালে পানি চলাচল না থাকায় এক হাজার জমির চাষাবাদ এখনো পানির নিচে

চকরিয়া প্রতিনিধি:7

চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে প্রায় একহাজার জমির চাষাবাদ এখনো পানির নিচে রয়েছে। তিনটি ছড়াখাল দিয়ে দ্রুত পানি চলাচল না হওয়ায় আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। ধান ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ওই দুই ইউনিয়নের শতশত কৃষক।

জানা যায়, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন ও বানিয়াছড়া এলাকার প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও ওইসব জমিতে ধান, তামাক, মরিচ, বেগুন, টমোটো, আলো, করলা, বরবটি, বাদামসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি ক্ষেত করেছে কৃষক। সেখানে ওইএলাকার কৃষকরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে চাষাবাদ করেছে। মূলত কৃষি কাজের মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা করে থাকে। ইতোমধ্যে কিছু সবজি মাঠ থেকে উত্তোলন করলেও বেশির ভাগ সবজি এখনো জমিতে রয়ে গেছে।

কৃষকরা জানান, গত ১২দিন পূর্বে মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে কৃষকের সেই স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। টানা দুদিনের বৃষ্টিতে মাঠের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের সবজি পানির নিচে রয়ে গেছে। তবে ভয়াবহের মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার বোরো ধান। শতশত একরের বোরো ধান যথা সময়ে উত্তোলন করতে না পারায় পচন ধরেছে। অনেক জমিতে ঠিকমতো ধানও পাকেনি। এরপরও কৃষকরা নৌকা দিয়ে কাচা ধান কেটে ফেলছে। এবারের বোরো ধান ও সবজিতে কৃষকের লগ্নিকৃত টাকা ঘরে উঠবে না বলে জানান অনেক কৃষক।

ওই এলাকার কৃষকরা জানান, বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াখাল, কুতুবখালী ছড়াখাল ও বানিয়াছড়া খাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ওইসব ছড়াখাল সংস্কার বা খনন কাজ না করায় সহজে পানি চলাচল করতে পারছে না। সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দ্রুত সময়ে খাল গুলো সংস্কার করলে সহজে পানি নেমে যেতো। এতে করে শতশত কৃষকের বোরো ধান কিছুটা হলেও রক্ষা পেতো।

বরইতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কৃষক আবুল কাসেম (৬০), মিনহাজ উদ্দিন (২৮) ও ৫নং ওয়ার্ডের কৃষক সাহাবউদ্দিন জানান, অকালে বৃষ্টি হয়ে বোরো ও বিভিন্ন ধরণের সবজি ক্ষেত ধ্বংস হয়েছে। এখনো কয়েক হাজার একরের ধান ও সবজি পানির নিচে রয়েছে। অনেক ধান পাকা শুরু করেছে। কিন্তু বিলে পানি থাকায় ধান কাটতে পারছি না।

তারা আরও জানান, বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াখাল, কুতুবখালী ছড়াখাল ও বানিয়াছড়া খাল গুলো ভরাট হয়ে গেছে। পানি সহজে যেতে পারছে না। বিলের মধ্যে পানি থাকায় বোরো ধান পচন ধরেছে। অনেক সবজি পচে গেছে। অনেক কৃষক সর্বশান্ত হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ে খাল গুলোর ভরাট হওয়া সরিয়ে দিলে কিছুটা হলেও রক্ষা ধান ও সবজি।
…………………………………….

মে দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে পরিবহন

মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের র‌্যালী

চকরিয়া প্রতিনিধি:

মহান মে দিবস উপলক্ষে সোমবার (১ মে) কক্সবাজারে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্যপরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে র‌্যালী ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার পরিবহন মালিক গ্রুপ ও কক্সবাজার ট্টাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: নং ১০৮৫) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত র‌্যালীটি আইভিপি গাড়ির মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে কলাতলী হোটেল মোটেল জোন হয়ে বাস টার্মিনাল প্রদিক্ষন করে। পরে গাড়ির মাঠস্থ মালিক গ্রুপের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল শ্রমিক সমাবেশ।

কক্সবাজার ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ট্টাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, ট্টাক, মিনিট্টাক, পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান, কক্সবাজার জেলা টাটা এইচ গ্রুপের সভাপতি এরশাদুজ্জামান সুমন, কক্সবাজার ট্টাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো.আবদুর ছবুর, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন পুতু, অর্থসম্পাদক নাছির উদ্দিন, কক্সবাজার ট্টাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোহাম্মদ আলী, সামসুল আলম চেয়ারম্যান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও সমাবেশে জেলার বেশির ভাগ পরিবহন সংগঠনের সদস্য অংশগ্রহন করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৮৮৬ সালে আমেরিকায় নায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনের সুচনা করেন শ্রমিকরা। প্রতিবছর পহেলা মে শ্রমিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে মহান মে দিবস পালন করা হয়। কিন্তু শতবছর অতিক্রম হলেও এখনো শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। যেই কারনে শ্রমিকরা এখনো আন্দোলনে আছে। বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে নতুন পরিবহন আইন করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদেরকে জিন্মি করা হয়েছে। অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা মে দিবসের সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি মালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী জারি করা কালো আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে সকলস্থরের শ্রমিকদের নিয়ে প্রয়োজনে দুর্বার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। #

পাঠকের মতামত: