ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

১৭ বছরের সংসার জীবনে কখনও ছিলনা সুখের ছোঁয়া

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ012
প্রতিনিয়ত স্বামীর নির্যাতন আর অত্যাচারে অতিষ্ট জান্নাতুল ফেরদৌস জোৎ¯œার অবশেষে ঠাঁই হল লামা সরকারী হাসপাতালের বেডে। সেই স্থানটিও নিরাপদ ছিল না তার জন্য। পাসন্ড স্বামী আব্দু রহিম বুধবার বিকেলে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার বাবা, ভাই, বোনকে আহত করে। কেড়ে নেয় বুকের ধন বড় ছেলে রাকীব (১৬) কে। ১৭ বছরের সংসার জীবনে একদিনের জন্য সুখের হাসিতে হাসঁতে পারেনি জোৎ¯œা। তার স্বামী রহিম অনেকবার গলায় ওড়না পেচিঁয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল তাকে। সন্তান ও আশপাশের লোকজনের কারণে ভাগ্য জোরে বেঁচে যায় সে। হতভাগী জান্নাতুল ফেরদৌস জোৎ¯œা বান্দরবানের লামা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড রাজবাড়ি এলাকার মোঃ রহমত উল্লাহ’র মেয়ে।

কান্না জড়িত কন্ঠে জোৎ¯œার বাবা মোঃ রহমত উল্লাহ বলেন, ১৭ বছর আগে লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেম এর ছেলে আব্দু রহিমের(৩৮) সাথে আমার মেয়ের বিবাহ দেই। প্রতিনিয়ত জামাইয়ের নানান চাহিদা থাকত। আমি রিক্সা চালিয়ে তার যথা সম্ভব পূরণ করতাম। অবশেষে নিজের বাড়ির ভিটা থেকে কিছু জায়গা দিয়ে মেয়ে ও জামাইকে থাকার জন্য বাড়ি করে দেই। তাতেও সুখ হলনা আমার মেয়ের। ২৬ এপ্রিল বুধবার জামাই রহিম প্রচন্ড মারধর করে মুমূর্ষ অবস্থায় আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি দ্রুত মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। রহিম তার ভাই ও আত্মীয় স্বজন ৮/১০ কে নিয়ে বুধবার বিকেলে হাসপাতালে হামলা চালায় ও আমাদের মারধর করে। এসময় আমি, আমার ছেলে কামাল(৩০), মেয়ে তাসলিমা (২৪) আহত হই। আমরা সকলে লামা হাসপাতালে ভর্তি আছি।

রাত ৯টায় জ্ঞান ফিরে এলে গৃহবধু জোৎ¯œা কান্না করে বলে, আমাকে এত মেরেও তার শান্তি হয়নি। সে আমার পরিবারের সকলের গায়ে হাত তুলেছে। এমনকি সে আমার ছেলে রাকীবকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। গত ২২ এপ্রিল সে আমাকে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। গলায় আঘাতের চি‎হ্ন এখনো আছে। আমার ছেলে আমাকে বাচিঁয়েছে। তখনও আমি ৩দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। অপরদিকে বুধবার দিবাগত রাত ৮টায় নিজেকে আহত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় পাষন্ড স্বামী আব্দু রহিম।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার বিকেলে মুমূর্ষ অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌস কে থানায় নিয়ে আসলে আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠাই। তারা এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

পাঠকের মতামত: