ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া পেকুয়ায় দুইদিনের বৃষ্টিতে বোরো ধান লবণের ব্যাপক ক্ষতি

চকরিয়া অফিস :
চকরিয়া ও পেকুয়ায় ২১. ২২ ও ২৩ এপ্রিল টানা তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকার পাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সবজি, লবণ, তামাক ও ইটভাটার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাতামুহুরী নদী দিয়ে পাহাড়ী ঢলের পানি নেমে এসেছে। চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে বাইশ্যার ছড়া খালটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়েছে বলা হলেও খালটি এখন কারো কোন কাজে আসছে না এলাকাবাসি জানিয়েছেন। ওই খাল দিয়ে বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে লক্ষ্যারচর ও কাকারা’র বিলের পাকা ধান বিলে পঁচে যাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়; চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ডেইঙ্গা কাটা, পহরচাঁদা, বিবিরখিল, হারবাং বিলে মাতামুহুরী নদী থেকে পানি ঢকে পাকা বোরো ধান ডুবে গেছে। একই ভাবে উপজেলার লক্ষ্যারচর, হারবাং, কাকারা, কৈয়ারবিলের নিন্মাঞ্চলের বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পেকুয়া উপজেলা শিলখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিণাঞ্চলের পাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫ নং ও ৩৬ নং স্লুইচ গেট বন্ধ করে রাখায় পানি বের হতে পারছে না। পেকুয়ার কৃষকরা জানান, এ স্লুইচ গেটগুলোয় জাল বসিয়ে মাছ শিকারের জন্য স্লুইচ গেট রক্ষণাবেক্ষণের দায়ীত্বপ্রাপ্তরা স্লুইচ গেটগুলো বন্ধ করে রাখেন। জাল বসানোর জন্য সুবিধা মতো সময়ে স্লুইচ গেট গুলো ছাড়েন। চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর, কাকারা’র কৃষকরা জনান; ওই এলাকায় প্রায় ১ হাজার একর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ গত শুষ্ক মৌসুমে ওই এলাকার বিলগুলোর পানি নিষ্কাষনের জন্য বাইশ্যার ছাড়া খালটি খননের জন্য ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা যেনতেন ভাবে কাজ দেখিয়ে করে বেশিরভাগ টাকা আত্মসাত করে ফেলায় বিলের পানি বের হচ্ছে না। ফলে ওই খালটি এবছরও এলাকার কারো কোন কাজে আসেনি। এতে অকাল বৃষ্টির পানিতে পুরো বিলের ধান ডুবে গেছে। তাছাড়া এবারের বৃষ্টিপাতে চকরিয়া উপজেলায় তামাক চাষ, সবজির চাষ ও ইটভাটাগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন তামাক তোলার ভর মৌসুম। কিন্তু বেশী বৃষ্টির কারণে তামাকের পাতাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ দুই উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ভাবে লবণের চাষ হয়ে থাকে। এ বছর কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে এখানে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে লবণ চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশী। লবণ মাঠের স্তুুপ করা লবণ বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে।

পাঠকের মতামত: