ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় সড়ক বিভাগের অসমাপ্ত সেতুসমুহ সমাপ্ত করণ শীর্ষক মতবিনিময়

Chakaria Pic 19-04-2017 (1)এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গতকাল বুধবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন সড়ক নেটওর্য়াকে অবস্থিত অসমাপ্ত সেতুসমুহ সমাপ্ত করণ শীর্ষক প্রকল্পের সমীক্ষার ওপর মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রানালয়ের আইএমইডির (মুল্যায়ন সেক্টর) মহাপরিচালক সুফিয়া আতিয়া যাকারিয়া। অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়া, আইএমইডির সহকারি পরিচালক গোলাম মোস্তাফা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.দিদারুল আলম ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্টিত সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, বাটাখালী সেতুটি নির্মাণের ফলে দুই উপজেলার (চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলা) অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির সদিচ্ছার কারনে মুলত নদীতে অসমাপ্ত সেতুটি আলোর মুখ দেখেছে। তিনি বলেন, অতীতে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো কার্যাদেশ পেয়ে কিছু করে পালিয়ে গেলেও সর্বশেষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর থেকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে সুচারুভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করেন।

সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম আরো বলেন, সেতুটি জনগনের জন্য উন্মুথ করে দেয়ার পর থেকে চকরিয়া উপজেলার উপকুলের সাত ইউনিয়ন ও দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর অন্তত ৫লাখ মানুষ যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুফল ভোগ করতে যাচ্ছে। এতে করে চকরিয়ার সাথে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সড়ক যোগাযোগ আরো সহজ হয়েছে। এখন থেকে দুই উপজেলার বিস্তৃীর্ণ জনপদে উৎপাদিত মৎস্য, লবণ, পানসহ নানা কৃষি পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজে পরিবহণ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৪৪বছর পর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই বেইলী সেতুর পরিবর্তে এখানে স্থায়ী পাকা সেতুটি নির্মাণ হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের পাশাপাশি যথাসময়ে সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করায় তিনি কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, মাদরাসা অধ্যক্ষ আলহাজ রুহুল কুদ্দুস আনোয়ারী আল আজহারী, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এমআর মাহমুদ, চকরিয়া সড়ক বিভাগের উপ-সহকারি আবু আহসান মো.আজিজুল মোস্তাফাসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানের পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শ্রেনী-প্রেশার নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

সভায় কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানাপ্রিয় বড়–য়া বলেন, সদ্য নির্মিত বাটাখালী সেতুটি ১৭০.৭২ মিটার লম্বা, ১০.৭৫ মিটার প্রস্থ, পাঁচ স্পেন ও চারটি পিলারসহ দুই পাশে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট বিশিষ্ট পিসি গার্ডার সমৃদ্ধ। সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কাঙ্খিত এই সেতুটি চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় সাতটি ইউনিয়ন এবং দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। #

পাঠকের মতামত: