ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় পুলিশ-ডাকাত বন্দুকযুদ্ধ, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার: এএসপি-ওসিসহ ৯ পুলিশ আহত, ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার

Chakaria Pic. (1) 17.04.17চকরিয়া নিউজ ডেস্ক :::

কক্সবাজারের চকরিয়া-লামা সড়কে সশস্ত্র ডাকাতদলের সঙ্গে ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে পুলিশের। এ সময় এএসপি, ওসিসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় দেশে তৈরি বিভিন্ন সাইজের চারটি একনলা বন্দুক, ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৫ রাউন্ড গুলির খোসা, দুটি ছোরা, দুটি ধামা দা, একটি লম্বা কিরিচ। গ্রেপ্তার করা হয় দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার অস্ত্র, ডাকাতিসহ ৭ মামলার পলাতক আসামীসহ ৬ জন ডাকাত সদস্যকে। আজ সোমবার ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত সড়কের কুমারী ব্রিজের নিকট চকরিয়া অংশে এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন চকরিয়া সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম, থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান, তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাওসার আহমদ চৌধুরী, সুকান্ত চৌধুরী ও মোহাম্মদ আলমগীর, তিন কনষ্টেবল মো. ইব্রাহিম, মিনহাজ উদ্দিন ও সাজেদুল ইসলাম। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃত ৬ ডাকাত হলেন উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী গ্রামের জাফর আলমের ছেলে দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার বেলাল উদ্দিন (৩৮), আবদুল হামিদের ছেলে আবদুর রহিম (২৫) হাজি নুর ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল হক (২৫), মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে মহিউদ্দিন (২৫), মৃত হাকিম আলীর ছেলে আবুল হোছন (৩০) ও মৃত মো. খলিলের ছেলে মো. হোসেন আলী (৩৫)।

পুলিশ জানায়, একদল সশস্ত্র ডাকাত সড়ক ডাকাতির উদ্দেশ্যে চকরিয়া-লামা সড়কের কুমারী ব্রিজ তথা চকরিয়া অংশে অবস্থান করছে। আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে এ খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে ডাকাতদল। এ সময় পুলিশও পাল্টা জবাব দিয়ে গুলি চালায়। থেমে থেমে চলে ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ চলে উভয়পক্ষে। একপর্যায়ে চারিদিক থেকে ঘিরে এবং ধাওয়া দিয়ে ৬ জন ডাকাতকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে। এ সময় ডাকাত ধরতে গিয়ে ছেড়া-কাটা জখম হয় ৯ পুলিশ সদস্যের।

চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের বন্দুযুদ্ধের সময় গ্রেপ্তার করা দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার বেলাল উদ্দিনসহ ৬ ডাকাতকে। এ ঘটনায় নতুন করে পুলিশ এসল্ট, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৬ ডাকাতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: