ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মেয়েরা কেন বয়সে বড় পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় ?

image_179633_0.gifনিউজ  ডেস্ক  ::

ঢাকা: বলতে শুনেছি, পুরুষ মানুষের বয়স নাকি কোনও বাধাই নয়। পুরুষ সব বয়সেই সমান তেজি। মহিলাদের যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বয়স বাড়ে, পুরুষের নাকি সে বালাই নেই। মহিলারা যেখানে ৪০শেই যৌবন বিসর্জন দিয়ে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন, সেখানেই নাকি পুরুষের সেকেন্ড ইনিংস শুরু, পুরোদমে, নতুন করে। তাই তো ইংরেজিতে একটা প্রবাদ চালু আছে, “A man’s life starts at 40”।

ফর্টিতেই বেশি হ্যান্ডসম, বেশি সফল, বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে অধিকাংশ পুরুষ। এবং সেই পুরুষকেই মনে মনে কামনা করতে শুরু করে কিছু যুবতি। ২৫-৩০শের ছেলেদের এড়িয়ে তাঁদের মন চলে যায় দুর্দান্ত মধ্যবয়স্কদের প্রতি। এবং সমস্ত বাধা পেরিয়ে সম্পর্কের যদি সূত্রপাত ঘটেও, অতিমাত্রায় সুখী হন সেই সব কাপল। বিখ্যাতদের মধ্যেও এমন অসম বয়সের জুটি দেখেছি আমরা। যেমন সাইফ-করিনা, চার্লি চ্যাপলিন-ওনা ওনিল, ইমরান খান-জেমাইমা খান, ওয়াসিম আকরম-শানিয়েরা থমসন এবং আরও অনেকে। লাইম লাইটের বাইরের সাধারণ কাপলদের মধ্যেও দেখা যায় বিস্তর বয়সের ফারাক। কেন বারবার বেশি বয়সি পুরুষকে মন দিয়ে বসেন যুবতিরা, জেনে নেওয়া যাক –

“প্রেয়সী বেব (Babe) নন”

বেশি বয়সি প্রেমিকের নজরে প্রেমিকা কখনওই বেব নন। তিনি খানিকটা দেবীর আসনেই বসে যান। যেহেতু দু’জন দুই ভিন্ন প্রজন্মের, তাই এমন পুরুষের মধ্যে রেট্রো ছাপ স্পষ্ট। মাধুরী দীক্ষিত বা মধুবালা যাঁর প্রিয় অভিনেত্রী, তিনি তো নির্দ্বিধায় কমবয়সি পুরুষের চেয়ে বেশি রোম্যান্টিক হবেনই। হোয়াটস্অ্যাপ বা ই-মেলের চেয়ে চিঠির প্রেমই তাঁর কাছে প্রেম প্রকাশের আদর্শ ধরন।

“নতুন বোতলে পুরোনো ওয়াইন”

কথায় আছে ওয়াইন যত পুরোনো হবে, ততই নাকি তাঁর টেস্ট বাড়বে। এক্ষেত্রে কথাটি বেশি বয়সি প্রেমিকের ক্ষেত্রেও সত্যি। সমবয়সি পুরুষের চেয়ে তিনি বেশিদিন পৃথিবী দেখেছেন বলে, সবকিছু বেশি ভালো করে ম্যানেজ করতে জানেন। এমন পুরুষের প্রতি আপনাআপনিই শ্রদ্ধাবোধ চলে আসে।

“যৌনভাবে অনেকবেশি সক্রিয়”

অভিজ্ঞতার কারণেই হোক বা আর যাই হোক, যৌনজীবনে অনেকবেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বেশি বয়সি পুরুষ। হাঁটুর বয়সি প্রেমিকার প্রতি অনেকবেশি যত্নবান হয় তাঁর আচরণ।

“বারবার প্রেমে পড়েন না”

অবুঝ ছেলেদের মতো বারবার ডেট, বারবার প্রেমে পড়ার অভ্যেস নেই ৪০ ঊর্ধ্ব প্রেমিকের। একজন নারীকে নিয়েই খুশি থাকতে পছন্দ করেন তিনি।

“শাসন করেন ভালোবেসে”

যেহেতু বাবার চেয়ে তাঁর বয়সের ফারাক বেশি নয়, তাই তিনি অতি সহজেই বাবার আসনে বসে যান। ফলে তিনি যদি শাসন করেনও, সম্মানে লাগে না। মনে হয়, বড় তো! বকুনি দিতেই পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শাসন করার পর তিনি তাঁর ছোট্ট প্রেমিকাকে নানাভাবে খুশি করার চেষ্টাও করেন।

“কথোপকথনে বোরডম নেই”

লেখাপড়া, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় অনেকটা এগিয়ে থাকার কারণে নানা বিষয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে যেতে পারেন তিনি। আপনার মনে হয় “চলতা ফিরতা এনসাইক্লোপিডিয়া”।

“ক্যারিয়ার সেটলড্”

সেই কবে প্রোমোশন হবে, তারপর স্যালারি বাড়বে, এমন আশায় থাকতে হয় না। ক্যারিয়ার তাঁর এমনিতেই ঝকঝকে। নিজের বাড়ি, নিজের গাড়িও হয়ে গেছে এতদিনে। তাই এই চিন্তার নো এন্ট্রি।

পাঠকের মতামত: