ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাংবাদিক তুষার তুহিনকে নির্যাতনের ঘটনা পুলিশের ‘পরিকল্পিত’ : সাংবাদিক ইউনিয়নের নিন্দা

নিউজ  ডেস্ক:
আদালতে তিন বছর আগে খালাস হওয়া মামলায় সাংবাদিক তুষার তুহিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনাটি ‘পরিকল্পিত’ বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। তারা এ ঘটনাকে পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন আখ্যায়িত করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর থানার এএসআই মুজিবুল হক কক্সবাজার শহরের নিজ বাড়ি থেকে দেশের অন্যতম নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের কক্সবাজারের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট তুষার তুহিনকে থানায় নিয়ে আসেন। এসময় টানা হেঁচড়াসহ তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

খালাসপ্রাপ্ত মামলায় ১০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে এ সাংবাদিককে আদালতে প্রেরণের নজিরও সৃষ্টি করে পুলিশ। যদিও আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে একঘন্টার মধ্যে তুষার তুহিনকে মুক্তি দেন।

আদালত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত জানান তুষার তুহিন।
তিনি জানান, এএসআই মুজিবুল হক তার বাড়িতে গিয়ে কোন কথা ছাড়াই জোর করে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তাকে টানা হেঁচড়া করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। পুলিশের এ কর্মকর্তা নানাভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে গালিগালাজ করেন। থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ২০০৭ সালের একটি মামলায় গ্রেফাতারি পরোয়ানা থাকার কথা বলেন।

মামলাটি উভয়পক্ষে সমাঝোতার মাধ্যমে ২০১৪ সালে আদালতে খালাস হয়েছে। এ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে কাগজপত্র বাড়ি থেকে আনার সময় দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে টানা-হেঁচড়া করে ১০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার পক্ষের আইনজীবী কাগজপত্র দেখালে আদালত তাকে মুক্তি দেন।

তুষার তুহিন বলেন, ঘটনাটি পুলিশের পরিকল্পিত। শনিবার একটি নিউজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। নিউজটি ছিল কক্সবাজার সদর থানার একজন এসআই এর বিরুদ্ধে এক নারীর আদালতে মামলা দায়েরের ব্যাপারে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা আমাকে হুমকিও দিয়েছিলেন। এর বহিঃপ্রকাশ খালাসপ্রাপ্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পরিকল্পিত নির্যাতন।

পুরো ঘটনাটি পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। এর প্রতিবাদে রোববার দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের এ ঘটনাটি বলে দিচ্ছে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। অন্যথায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সারাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় সদস্য এডভোকেট আয়াছুর রহমান সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন।

##############

সাংবাদিক ইউনিয়নের নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করেছে দেশের অন্যতম নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার তুষার তুহিনকে। আদালতে তিন বছর আগে খালাস হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার করে টানা হেঁচড়াসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়।

রোববার সকালে কক্সবাজার সদর থানার এএসআই মুজিবুল হক এ ঘটনাটি ঘটায়। খালাস প্রাপ্ত মামলায় পুর্লিশ দ্রুত সময় এ সাংবাদিককে আদালতে প্রেরণের নজিরও সৃষ্টি করেছে। যদিও আদালত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে এক ঘন্টার মধ্যে তুষার তুহিনকে মুক্তি দিয়েছে। আর এ ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। তারা এঘটনাকে পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন বলে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

রোববার সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার সদর থানার এএসআই মুজিবুল হক কক্সবাজার শহরের নিজ বাড়ি থেকে তুষার তুহিনকে থানায় নিয়ে আসেন। ১০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে তুষার তুহিনকে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ঘটনার বিস্তারিত জানান তুষার তুহিন।

তিনি জানান, এএসআই মুজিবুল হক তার বাড়িতে গিয়ে কোন কথা ছাড়াই জোর করে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তাকে টানা হেঁচড়া করে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়া হয়। পুলিশের এ কর্মকর্তা নানাভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে গালিগালাজ করেন। থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে যাওয়া হলে তিনি ২০০৭ সালের একটি মামলায় গ্রেফাতারি পরোয়ানা থাকার কথা বলেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা তিনি জানান মামলাটি উভয় পক্ষে সমাঝোতার মাধ্যমে ২০১৪ সালে আদালতে খালাস হয়েছে। তার কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে। পুলিশের এ কর্মকর্তাকে কাগজ পত্র বাড়ি থেকে আনা পর্যন্ত সময় দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে টানা হেঁচড়া করে ১০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তার পক্ষের আইনজীবি আদালতে কাগজ পত্র দেখালে আদালত তাকে মুক্তি দেয়।

তুষার তুহিন জানান, ঘটনাটি পুলিশের পরিকল্পিত। শনিবার একটি নিউজ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা হয়েছে। নিউজটি ছিল কক্সবাজার সদর থানার একজন এসআই এর বিরুদ্ধে এক নারীর আদালতে মামলা দায়েরের ব্যাপারে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাকে হুমকিও দিয়ে ছিলেন। আর এর বহি:প্রকাশ তাকে খালাস প্রাপ্ত মামলায় পরিকল্পিত নির্যাতন।

আর এ পুরো ঘটনাটি পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানী বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। ঘটনা প্রতিবাদে রোববার দুপুর দেড় টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সভায় ঘটনা নিন্দা জানিয়ে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের এ ঘটনাটি বলে পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা অন্যতায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সারা দেশের সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করবেন বলে হুশিয়ারী দেন।

সভায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় সদস্য এডভোকেট আয়াছুর রহমান সহ অন্যান্য বক্তব্য রাখেন।

এদিকে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন।

সিবিএন

 

পাঠকের মতামত: