ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাঙালির প্রাণের উৎসব আজ ।। পহেলা বৈশাখে চট্টগ্রামজুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন

1la baiভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :::

‘আজি নতুন রতনে ভূষণে যতনে/ প্রকৃতি সতীরে সাজিয়ে দাও’- আজ নব আলোর কিরণশিখা শুধু প্রকৃতিকে নয়, রঞ্জিত করে নবরূপে সাজিয়ে যাবে প্রত্যেক বাঙালির হৃদকোণও। নব আলোর শিখায় প্রজ্বলিত হয়ে শুরু হবে আগামী দিনের পথচলা। যতসব জীর্ণতা, সব মঙ্গলের অগ্নিস্নানে পুণ্য করতে এসেছে নতুন বর্ষ। আজ শুক্রবার পহেলা বৈশাখ। বাংলা সনের প্রথম দিবস। স্বাগত ১৪২৪। শুভ নববর্ষ। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে তাই আয়োজনের কমতি থাকে না ঘরে-বাইরে। নতুন সাজ-পোশাক, ঐতিহ্যবাহী খাবার-দাবারের আয়োজন থাকে ঘরে ঘরে। নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে এ উৎসবে মেতে ওঠে প্রতিটি বাঙালি। আজ আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে যাবে কলগুঞ্জন। নাগরদোলার ক্যাচ ক্যাচ, ডুগডুগির কড়া-মিঠে তাল, দীর্ঘ লয়ের আম আঁটির ভেঁপু, শিশুদের হৈচৈ আর বাউল বৈষ্ণবের গানে মুখরিত হবে শহর-বন্দর-গ্রাম। সাম্প্রদায়িকতা ভুলে সমগ্র বাঙালি শুষে নেবে শিকড়ের সুধা। উৎসবমুখর পরিবেশে পুরোনোকে বিদায় দিয়ে স্বাগত জানাবে আজ নতুনকে। পহেলা বৈশাখের শুভলগ্নের আনন্দে আজ বাঙালি ধর্মান্ধ অপশক্তির কূট ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করবার আর কুসংস্কার ও কূপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা নেবে, হবে ঐক্যবদ্ধ।

আজ বৈশাখকে বরণ করে সবাই যেমন বলবে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’, তেমনি কায়মনে প্রার্থনা করবে ‘তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষেরে দাও উড়ায়ে / বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক্‌ / মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা / অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’- অনেকেই আবার কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলে উঠবে ‘কি ফুল ফোটাবে তুমি হে বৈশাখ/ তোমার শাখায় সে কথা তুমিই জানো,/ হয়তো বা তুমিও জানো না তোমার প্রথম দিনে।/ বিধাতার মৌন অনুরোধ পারে না হেলিতে/ তাই ঘুরে ঘুরে আসে বারে বারে প্রত্যেক চৈত্রের শেষে।’

‘হে ভৈরব/ হে রুদ্র বৈশাখ/ ধুলায় রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল/ তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু/ মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল/ কারে দাও ডাক / হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!’- ‘বৈশাখ’ কবিতায় এভাবেই বৈশাখের রুদ্ররূপ বর্ণনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির লেখা পঙতিমালার মতো রুদ্ররূপ নিয়ে আজ আমাদের দুয়ারে এসে হাজির হয়েছে পহেলা বৈশাখ। গত কয়েক দিনের তাপদাহ আজও বিদ্যমান থাকবে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সংবাদপত্রগুলোও প্রকাশ করছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সেই সঙ্গে আছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নানা আয়োজন আর ব্যবসায়ীদের হালখাতা। এসব মিলিয়ে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও বইছে নববর্ষের উৎসবের আমেজ। আজ শুক্রবার বর্ষবরণের উৎসবের আমেজে মুখরিত থাকবে বাংলার প্রতিটি কোণ। গ্রীষ্মের তাপদাহও আজ রুখতে পারবে না উৎসবপ্রিয় বাঙালিদের।

চিরাচরিত ঐতিহ্যানুযায়ী ধর্ম, বর্ণ, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলে মেতে উঠবে বৈশাখী উৎসবে। আর নতুনের আহ্বানে অন্তরের মাঝে গীত হতে থাকবে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই গান- ‘ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল বৈশাখীর ঝড়’। এই সুর ধ্বনির মধ্য দিয়েই বাঙালি নতুন বছরের সকল অপ্রাপ্তি ভুলে গিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েই বাঙালি পালন করবে এবারের পহেলা বৈশাখ।

এদিকে বৈশাখকে বরণ করে নিতে আজ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন।

ডিসি হিল: ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির উৎসব, সবার যোগে জয়যুক্ত হোক’ শিরোনামে নগরীর ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে থাকছে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের বর্ষবরণ আয়োজন। শুক্রবার ভোর ৬টায় ওস্তাদ স্বর্ণময় চক্রবর্তীর বিলাসখানী তোড়ী রাগ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।

সিআরবি শিরীষতলা: নববর্ষ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সকাল ৭টায় দলীয় পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হবে। দুপুর দেড়টায় থাকবে দলীয় নৃত্য। বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করবেন রাজ্জাক সাঁই ও তাঁর দল। বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে সাহাবুদ্দিনের বলী খেলা। বিকাল ৫টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, শিল্পকলা একাডেমি: সকাল ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বর্ষবরণের আয়োজন। সার্কিট হাউস থেকে শুরু হয়ে শিল্পকলায় এসে শেষ হবে শোভাযাত্রাটি। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনার পাশাপাশি বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে পান্তা ভাত-ভর্তা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন: চসিকের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বৈশাখ ও লোকজ উৎসব সকাল ৯টা থেকে বহদ্দারহাটে স্বাধীনতা পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব: চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজন করেছে আনন্দঘন বৈশাখী উৎসবের। সুরের মূর্ছনার মাধ্যমে শুক্রবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। এরপর থাকবে সংগীত, কবিতা, আড্ডা ও কথামালা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট: নগরীর বাদশা মিঞা চৌধুরী সড়কে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সকাল ৮টায় ঢাকঢোল বাদনের মাধ্যমে শুরু হবে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান। এরপর পর্যায়ক্রমে থাকবে মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা, গ্রামীণ খেলাধুলা, গান, নাট্য পরিবেশনা ও আব্দুর রহমান বাউলের পরিবেশনা।

পথশিশুদের নিয়ে বর্ষবরণ : গত বছরের মতো এ বছরও চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশন চত্ত্বরে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের সংগঠন আলোর ঠিকানা বর্ষবরণ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ প্রথম দিন দুপুরে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ইলিশ খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া পরদিন বিকেল তিনটা থেকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক। প্রধান অতিথি থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: ‘প্রাণের বন্ধনে বৈশাখ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ষবরণ আয়োজনে থাকছে বৈশাখী শোভাযাত্রা, বাউল উৎসব, শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠান, ঘুড়ি উৎসব, বৈশাখের আলোচনা, লটারি ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং লোক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। সকাল সাড়ে ৭টায় চুয়েট গোলচত্বর থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

অভয়মিত্রঘাট: শুক্রবার সকাল ৮টায় মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এরপর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঘুড়ি উৎসব, দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাহাড়ি নৃত্য, ফ্যাশন শো, আলোচনা সভা, আঞ্চলিক গান পরিবেশিত হবে।

ফুলকি : প্রতিবছরের মতো এবছরও ফুলকি বর্ষবরণের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে শিশুদের জন্য। সাথে থাকছে বরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্তিতিতে শিশুতোষ নানা আয়োজন।

বৈশাখী বিচ উৎসব : প্রতিবারের মতো এবারও নগরীর পতেঙ্গা বিচে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হচ্ছে। ‘বৈশাখী বিচ উৎসব’ শিরোনামে পরিচ্ছন্ন পর্যটন এলাকা গড়তে বিগত ৪ বছর ধরে ধারবাহিকভাবে এ উৎসব পালন করা হচ্ছে। এবার উৎসবে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি। পতেঙ্গা বিচ এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকছে কবিগান, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, আধুনিক গান, ভান্ডারি গানের পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশন।

জাফর নগর বর্ষবরণের আয়োজন : আগামীকাল সীতাকুণ্ডের জাফর নগর (কারীতলা) বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল করতে সিএমপির পক্ষ থেকে ১৭টি নিরাপত্তা নির্দেশনা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্দেশনাসমূহ হলো-

১। বিকেল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে,২। আবদ্ধস্থানে (ইনডোর) অনুষ্ঠান করার জন্য অবশ্যই সিএমপির অনুমতি নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে, ৩। পহেলা বৈশাখের দিন মোটরসাইকেলে চালক ব্যতিত কোনো আরোহী থাকবে না। অনুষ্ঠান স্থলে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। সুবিধাজনক স্থানে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দিতে হবে,৪। কোনো ধরনের ব্যাগ, পোটলা, প্যাকেট বহন করা যাবে না। সকলকে দেহ তল্লাশিতে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করা হলো,৫। মঙ্গল শোভাযাত্রায় শুরুতেই যারা অংশগ্রহণ করবেন, তারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন। মাঝখানে কেউ শোভাযাত্রায় ঢুকতে পারবে না,৬। শোভাযাত্রায় ভুতুজেলা বাজানো যাবে না। মুখোশ মুখে লাগানো যাবে না, তবে তা হাতে বহন করা যাবে,৭। এবারের পহেলা বৈশাখ শুক্রবার হওয়ায় জুম্মার নামাজের সময় গান-বাজনা এবং মাইক বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো,৮। শোভাযাত্রায় এবং সমাবেশস্থলে পানি বা অন্য কোনো পানীয়-এর বোতল বহন করা যাবে না। বর্ষবরণে সমবেত লোকজনের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য স্থানগুলোতে সিএমপি কর্তৃক বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে,৯। কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, দাহ্য পদার্থ এবং বিস্ফোরক বা ক্ষতিকর দ্রব্য বহন করা যাবে না,১০। ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোনো বিকট শব্দ করা যাবে না,১১। কোনো ধরনের মাদক বহন বা মাদক সেবন করে মাতলামি করা যাবে না।১২। নারীর প্রতি কোনো ধরনের অশোভন আচরণ করা যাবে না,১৩। শোভাযাত্রায় সকলকে সু-শৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো,১৪। যত্রতত্র হকার/অস্থায়ী দোকান বসানো যাবে না। গ্যাস সিলিন্ডারসহ বেলুন বিক্রেতা এবং ফ্লাক্স নিয়ে চা বিক্রেতা অনুষ্ঠান স্থলে ঢুকতে পারবে না,১৫। সন্দেহজনক কোনো কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বরত পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে,১৬। প্রতিটি অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করবেন। স্বেচ্ছাসেবকদের যাতে সহজে চেনা যায় সেজন্য ‘ স্বেচ্ছাসেবক’ লেখা সম্বলিত ক্যাপ/বাহুবন্ধনীর ব্যবস্থা করবেন। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেবেন, ১৭। শিরীষতলা ও ডিসি হিল এ মাইকিং এর ব্যবস্থাসহ পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপিত হবে। যে কোনো প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পাঠকের মতামত: