ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়া ইনানী সৈকতে পর্যটক আহতের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

mamla.শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥

কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী সৈকতে বেপরোয়া বীচ বাইকের ধাক্কায় লন্ডন প্রবাসীসহ পর্যটক নারী গুরুতর আহতের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

৯ এপ্রিল বিকালে উখিয়া থানায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। আটক করা হয়েছে দূর্ঘটনায় জড়িত একটি বীচ বাইকও। আহত দুই নারীকে রোববার সকাল ১১টায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। গত শনিবার ৮ এপ্রিল বেলা আড়াই টার দিকে ইনানী সৈকতে বেপরোয়া বীচ বাইকের ধাক্কায় ৩ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ঢাকা বসুন্ধরা বাড়ীধারা রাস্তা নং- ৮, বি ব্লকের বাসিন্দা জিআর চৌধুরী ছেলে ঝলক এস চৌধুরী, তার বোন লন্ডন প্রবাসী ফাতেমা খাতুন সহ স্বপরিবারে গত ৭এপ্রিল কক্সবাজার ভ্রমনে আসেন। শনিবার ৮এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে তারা উখিয়া থানাধীন ইনানী সী-বীচে ভ্রমনে যান।

পর্যটক ঝলক এস চৌধুরী জানান, ইনানী সৈকতে অজ্ঞাত নামা দুইটি বীচ বাইকের যাত্রী হন তার বোন ফাতেমা খাতুন ও ভাগ্নি মৌনা। বীচবাইক গুলোর চালকেরা বেপরোয়া ভাবে বাইক চালিয়ে একটি বাইককে পিছনের দিক থেকে স্বজোরে ধাক্কা দিলে বাইক দুইটি উল্টে যায়। এসময় বাইকে থাকা লন্ডন প্রবাসী বোন ফাতেমা খাতুন (৩৯) ও ভাগ্নি মৌনা (২২) গুরুতর আহত হন। পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেওয়া বীচ বাইকটি ভাগ্নির শরীরের উপর দিয়ে চালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির টহলরত এসআই নিউটন কর্মকার সহ একদল পুলিশ ও বীচকর্মী মঞ্জুর এবং স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করলেও বেপরোয়া বীচ বাইক চালকেরা আহতদেরকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।

আহতদের প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভাগ্নি মৌন ও বোন ফাতেমা খাতুনকে কক্সবাজার সিআইসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল ১১টায় আহত ২ জনকে বিমান যোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, শনিবার রাতে পর্যটক ঝলক এস চৌধুরী বাদী হয়ে বীচ-বাইক মালিক জাকির হোসেন সিকদার ও শাহ আলম এবং বীচ-বাইক চালক মোঃ হারিস ও টিপুর বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন। রোববার বিকালে ৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ঘটনায় জড়িত একটি বীচ বাই আটক করা হয়েছে। পলাতক আসামী ও অপর বীচ বাইক আটকের চেষ্টা চলছে।

———

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,

কক্সবাজার, ৯ এপ্রিল ॥

০১৮১৫৮১২৮৭২

পাঠকের মতামত: