ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফের দুর্ধর্ষ ডাকাত নুরুল আলমের রিমান্ড চলছে জামাই আদরে!

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,কক্সবাজার ::012

কক্সবাজারের র‌্যাব-৭ এর হাতে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক হওয়া টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া শামলাপুরের দুর্ধর্ষ ডাকাত নুরুল আলমকে রিমান্ডে এনেছে পুলিশ। ৫ এপ্রিল নুরুল আলমকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আনা হয়। কিন্তু সেখানে তার রিমান্ড চলছে জামাই আদরে। আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে আনা নুরুল আলম শামলাপুর এলাকার ইজ্জত আলীর ছেলে।

জানা যায়, গত ২১ মার্চ কক্সবাজার র‌্যাব-৭ এর একটি টীম টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশ পর্যটনক ধর্ষণসহ ডজনাধিক মামলার পলাতক আসামী দুর্ধর্ষ ডাকাত নুরুল আলমকে ৮টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে। পরে র‌্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের সহ থানায় সোর্পদ করেন। থানা পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন জানিয়ে আদালতে সোর্পদ করেন। অস্ত্র ও ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপরাধের আরো কিছু তথ্য জানার জন্য পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় আদালতে। পরে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ৫ এপ্রিল নুরুল আলমকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে টেকনাফ শামলাপুর পুলিশ ফাঁড়ি রিমান্ডে আনা হয়।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, অস্ত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাকসুদ আলম তাকে রিমান্ডে আনলেও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে তাকে জামাই আদরে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন বাহারছড়ার শিক্ষিত ও সতেচন মহল।

এদিকে, ডাকাত নুরুল আলম অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ র‌্যাবের হাতে আটক হলে বাহারছড়ার সর্বস্তরের মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। এমনকি এলাকাবাসির মন থেকে নুরু ডাকাত আতংক হ্রাস পায়। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডের নামে যে তামাশা শুরু করছেন তাতে আমরা অনেক হতাশাগ্রস্থ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রে জানায়, ডাকাত নুরুল আলমকে যখন রিমান্ডে আনা হয় তখন থেকে পরিবারের সদস্য ও আতœীয়দের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাকে রিমান্ডে জামাই আদরে রাখা হয় এবং গভীর রাত পর্যন্ত তার বেশ কয়েকজন ইয়াবা পার্টনারসহ অর্ধশতক আতœীয় তার সাথে সাক্ষাত করেণ। এমনকি তার বাড়ী থেকে রান্না করা বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার নিয়ে গিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়।

তাদের মতে, দেশের আইনে রিমান্ডের আসামীদের সাথে রিমান্ড চলাকালীন সময় অনায়সে কেউ দেখা করা ও ঘওে রান্না করা খাবার দিতে না পারলেও শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রিমান্ডে আনা ডাকাত নুরুল আলমের বেলায় ঘটল অন্য ধরনের ঘটনা। এতে পুরো বাহারছড়াবাসী অনেক হতাশাগ্রস্ত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাকসুদ আলমের মোবাইলে (০১৭১৭৩৯২৯৩৪) একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: