ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

‘সম্মানহানি’র অভিযোগ সম্মাহানি ভাতায়

cnছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া ।।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার তিন কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শকের (ইনভিজিলেটর) দায়িত্বে নিয়োজিত ১২০ জনেরও বেশি শিক্ষক তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সম্মানি ভাতায় তাদের ‘সম্মানহানি’ হয়েছে অভিযোগ করে সেই ভাতা তারা গ্রহণ করেন নি। তাদের দাবি, অন্যান্য বছর কক্ষ পরিদর্শক প্রতিজনকে ৩০০ টাকার বেশি সম্মানি ভাতা বরাদ্দ দেয়া হলেও এবার মাত্র ১৫০ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এজন্য তারা এবছর একযোগে সম্মানির টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অনেক শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন। অবশ্য চকরিয়ার পার্শ্ববর্তী উপজেলা পেকুয়ার দু’টি কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শকরা ২৫০ টাকা করে সম্মানি ভাতা পেয়েছেন বলে জানান ক্ষুদ্ধ পরিদর্শকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার সারাদেশের ন্যায় চকরিয়ার ৬টি কলেজের ২ হাজার ৩১৭ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন কেন্দ্র যথাক্রমে চকরিয়া কলেজ, চকরিয়া আবাসিক মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও ডুলাহাজারা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এসব কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক (ইনভিজিলেটর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১২০ জনের বেশি শিক্ষক। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে ১৫০ টাকা করে বরাদ্দ রয়েছে, বিষয়টি জানার পর তিন কেন্দ্রের সকল পরিদর্শক একযোগে এই ‘নগন্য’ সম্মানি না নেয়ার ঘোষণা দেন। এ কারণে কোন পরিদর্শকের হাতে সম্মানির টাকা তুলে দিতে পারেনি কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।

নগন্য’ সম্মানি বরাদ্দ রাখায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন চকরিয়া আবাসিক মহিলা ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক কৃষ্ণ কান্তি দে সহ তিন পরীক্ষা কেন্দ্রের অসংখ্য কক্ষ পরিদর্শক। তারা বলেন, ‘গত বারের এইচএসসি পরীক্ষায়ও আমরা ৩০০ টাকার বেশি সম্মানি পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার মাত্র ১৫০ টাকা সম্মানি বরাদ্দ রেখে আমাদের ‘সম্মানহানি’ করা হয়েছে। এ কারণে এ টাকা আমরা গ্রহণ না করে সকল পরীক্ষায় সম্মানি ছাড়াই দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

পেকুয়ার দুই কেন্দ্র শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ ও শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএমআই) কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শকদের কয়েকজন জানান, তারা সম্মানি হিসেবে ২৫০ টাকা করে বরাদ্দ পেয়েছেন।

অবশ্য চকরিয়া আবাসিক মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের সচিব ও অধ্যক্ষ এস এম মনজুর আলম বলেন, ‘অতীতে সরকার নির্ধারিত কেন্দ্র ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এতে কক্ষ পরিদর্শকরাও ভাল সম্মানি পেতেন। কিন্তু চলতি বছর থেকে সরকার নির্ধারিত কেন্দ্র ফি’র বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা না নেয়ায় এবং তন্মধ্যে ১০ শতাংশ কলেজ ফান্ডে জমা করার বিধান থাকায় এবারের পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকদের জন্য ১৫০ টাকা সম্মানি বরাদ্দ করা হয়। সিদ্ধান্তটি উপজেলা প্রশাসন থেকে গৃহীত হয়েছিল। তবে সম্মানি কম হয়েছে জানিয়ে তাঁরা (ইনভিটিলেটর) এবার সম্মানি নেননি।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি কেন্দ্র সচিবদের কাছ থেকে। তবে কি কারণে কক্ষ পরিদর্শকরা তাদের সম্মানি ভাতা নেননি তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করা হবে।’

পাঠকের মতামত: